খৈয়াছড়া ঝরনায় তিন দিন ধরে নিখোঁজ শিক্ষার্থী
প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৫
মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে এসে তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সিফাত আর মজুমদার (২১) নামে এক শিক্ষার্থী। সে ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটানেটিভ এর ব্যাচেলর অফ ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
ঝরনা দেখতে ১৩ জন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে তারা গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মিরসরাই আসে। দুপুরে ঝরনায় যাওয়ার পর হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় সিফাত। নিখোঁজের খবর পেয়ে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঝরনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা।
সিফাতের বড় ভাই রিফাতুর রহমান মজুমদার বলেন, আমরা তিন ভাই বোনের মধ্যে সিফাত দ্বিতীয়। সে তার বন্ধুদের সাথে খৈয়াছড়া ঝরনা দেখার জন্য গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে মিরসরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। গত মঙ্গলবার সকালে তারা মিরসরাই পৌঁছে ঝরনা এলাকায় যায়। তারা ১০ জন ছেলে ও তিনজন মেয়েসহ মোট ১৩ জন ছিল। গত মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত আমার ভাই নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তার বন্ধুরা আমাদেরকে জানায়নি। সারাদিন তার কোনো খবরাখবর না পেয়ে আমি তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। পরবর্তীতে তারা বলে দুপুরে ঝরনা থেকে আমার ভাই নাকি নিখোঁজ হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাই নিখোঁজ বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে তারা মিরসরাই এনে গুম করেছে। আমি তার সহপাঠীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনায় শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়ে আমরা গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় খবর পাই। পরবর্তীতে বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দুপুর পর্যন্ত তার সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু ঝরনা এলাকায় শিক্ষার্থী সিফাতের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপ্তেষ রায় বলেন, খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় শিক্ষার্থী সিফাত নিখোঁজের ঘটনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জনগণ বুধবার সকাল থেকে খুঁজতেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রায় ৪০ জনের একটি গ্রুপ তাকে খোঁজার চেষ্টা করতেছেন।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে সিফাতকে গুম করার বিষয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিবার যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
যাযাদি/ এসএম