আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর আহমদ গিলমান আত্মগোপনে চলে যান। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে এ ইউনিয়নে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আতাউর রহমান আতিক।
এদিকে একইভাবে আত্মগোপনে রয়েছেন জাফর আহমদ গিলমানের বড় ভাই, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমান।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট ভয়াবহ পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর থেকেই হামলা-মামলার ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী পন্থি চেয়ারম্যানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। এতে স্থবির হয়ে পড়ে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। কয়েকদিন পেরোনোর পর অনেক চেয়ারম্যান নিজ নিজ কার্যালয়ে ফিরলেও কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মৌলভীবাজার জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমদ গিলমান কর্মস্থলে ফেরেননি। যার ফলে ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ আতাউর রহমান আতিককে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এদিকে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম সফি আহমদ সলমানও হামলা-মামলার ভয়ে রয়েছেন আত্মগোপনে। গত ৫ আগস্ট বিকালে কুলাউড়া বিক্ষুব্ধ জনতা সলমানকে না পেয়ে তাঁর মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিতালী ফার্মেসীতে হামলা ও ভাঙচুর করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় দোকানের তালা ও সাটার ভেঙে ঔষধসহ প্রায় কোটি টাকার প্রয়োজনীয় মালামাল লুটপাট করে দূর্বৃত্তরা। এছাড়াও দূর্বৃত্তদের হামলায় তাঁদের ভাই ইসতাক আহমদ বুরহানও গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মহিউদ্দিন জানান, কাদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এখনও কর্মস্থলে যোগদান না করায়, সেখানে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম