ঢাকার আশুলিয়ায় বহুতল ভবনের ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ তিন জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা দাম্পত্য কলহের জেরেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তদন্তের পর মৃত্যুর কারন নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে র্যাবের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার ( ১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে আশুলিয়ার উত্তর ভাদাইল এলাকায় এম এ হাসান বাচ্চুর নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- এম এ হাসান বাচ্চু (৫৫), তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৫) ও তাদের শিশু মেয়ে মোছা. জান্নাতী (৪)।
স্থানীয়রা জানায়, বাচ্চু ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ নিজ বাড়ির চারতলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। পাশের কক্ষে তার ১৮ বছর বয়সী সন্তান থাকতেন। সকালে হঠাৎ চারতলা থেকে তার বড় ছেলে বাঁচাও বলে চিৎকার শুরু করে। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে বাচ্চুর দরজা ভেঙ্গে ভিতরে তিনজনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, সকাল ১০ টার দিকে মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফেরেন স্বপ্না বেগম। ওই ফ্ল্যাটে আগে থেকে বাচ্চু অবস্থান করছিলেন। স্বপ্না ছেট মেয়েকে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করর দরজা আটকে দেন। পরে পাশের কক্ষ থেকে তাদের বড় ছেলে কক্ষের দরজার নিচ দিয়ে ধোয়া বের হতে দেখে চিৎকার শুরু করে। এসময় আমি প্রতিবেশীদের সহায়তায় বাচ্চুর কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি। বাচ্চু ও তার স্ত্রীসহ ছোট সন্তানকে বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখি। এসময় বিছানার জাজিমে আগুনের সাথে ধোয়ার হচ্ছিলো। পরে তাদের বাড়ির পাশের একটি হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনজন মারা যায়। তাদের মধ্যে কোন কলহ চলছিল। সেই কলহের জেরেই তারা মারা গেছে বলে ধারণা করছি। বাচ্চুর গালে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে র্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, ভাদাইলে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যাযাদি/ এসএম