নীলফামারী কিশোরগঞ্জ বিজনেজ ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে কলেজের আর্থিক অনিয়ম, দূর্নীতি ও আত্মীয় করণের অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী আব্দুল ওয়াদুদ।
অভিযোগে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির ছাত্র ভর্তি আদায়ের অর্থ, ফরম পূরণের অর্থ, ছাত্র-ছাত্রীর মাসিক বেতন, বিবিধ ফি প্রতিষ্ঠানটির যৌথ একাউন্টে জমা না দিয়ে ক্যাশ থেকে নগদে লেনদেন করেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ। এসব কর্মকান্ডে প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং শুরু হলে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী আব্দুল ওয়াদুদ রেজিষ্টার নোটে স্বাক্ষর নিয়ে টাকা লেনদেন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন। অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন তার খালাতো ভাই ল্যাব এসিসেটেন্ট মোঃ শরিফুলকে দিয়ে হিসাবের কর্মকান্ড পরিচালনা করেন এবং তাকে নিয়োগ প্রদান করেন ২০০০ সালে। আব্দুল ওয়াদুদ আরো বলেন, টাকার লেনদেনের হিসাব যৌথ একাউন্টে রাখতে বলায় ও রেজিষ্টারে স্বাক্ষর নিয়ে অর্থ লেনদেনের কথা বলায় আমার সকল কর্মকান্ড অধ্যক্ষের খালাতো ভাই ল্যাব এসিসেন্টেন মোঃ শরিফুলকে দিয়ে পরিচালনা করেন, যাতে তার অর্থ লেনদেনের অবৈধ কর্মকান্ড বাহিরে প্রকাশ না পায়। একারণে ২০১৬ সাল থেকে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী পদে চাকরী করলেও শুধু বেতন তুলি, অফিসে আমার কোন কর্মকান্ড নেই। আমাকে আমার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হোক। আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমি দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী হিসেবে পদে কর্মরত রয়েছি। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোন প্রকার অফিসিয়াল কর্মকান্ড ছাড়াই বেতন তুলছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন মুঠো ফোনে জানান, ওনার এতো অভিযোগ ফোনে বলা যাবেনা। আসতে হবে প্রতিষ্ঠানে।
জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান মুঠো ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
যাযাদি/এসএস