গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঝেনজিচালা এলাকায় এক যুবককে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় লাশ বনের ভেতরে গাছে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর শুক্রবার রাতে উপজেলার গলাচিপা এলাকায় গভীর বনের ভেতর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের লস্কারচালা ঝেনজিচালা এলাকার ইউসুফ আলী ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬)। এই জগন্য নির্মমতার শেষ কোথায় ?
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বকে সপ্তাহ আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার বিকেলে জাহাঙ্গীর হঠাৎ করে নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে না পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তার ছোট ভাই আলমঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গলাচিপা এলাকায় গভীর বনের ভেতরে পুড়া ও বিবস্ত্র অবস্থায় এক লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। মুহুর্তের মধ্যে ওই খবরটি আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লাশটি জাহাঙ্গীরে লাশ বলে শনাক্ত করেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুড়া ও বিবস্ত্র অবস্থায় জাহাঙ্গীরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে পুড়িয়ে হত্যার পর গলায় লঙ্গী পেছিয়ে ওই গভীর বনের ভেতরে গজারি গাছে বিবস্ত্র অবস্থায় ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কি কারণে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড? এখনো সে কারণ উদ্ঘাটন করা যায়নি।
নিহতের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, গত ৪/৫ বছর আগে জাহাঙ্গীর বিয়ে করেন। তাঁর সংসারে স্ত্রী, তিন বছরের এক মেয়ে ও দুই দিন বয়সের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। হঠাৎ করেই গত শুক্রবার তিনি নিখোঁজ হলে খোঁজাখুজির পর গত বৃহস্পতিবার থানায় জিডি করেছি। এরই মধ্যে ভাইয়ের লাশ পেলাম। কি কারণে এ নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে? তা জানি না। তবে যারা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন) যোবায়ের আহম্মেদ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কি কারণে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে? তা এখনো জানা যায়নি।
যাযাদি/ এসএম