খুলনায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলায় সাবেক কাউন্সিলর বিপ্লব কারাগারে 

ছবি : যায়যায়দিন

খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ডের অপসারিত কাউন্সিলর জাকির হোসেন বিপ্লব (৫২) ও তার ছেলে সোনাডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হোসেন ঐশ্বর্য্য (২৫) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।  

সোমবার সকালে সোনাডাঙ্গা থানার ছিনতাই ও চাঁদাবাজি মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে তারা দু’জন জামিন আবেদন করেন। 

আদালতের বিচারক মোঃ আল আমিন জামিন না মঞ্জুর করে জাকির হোসেন বিপ্লবকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন এবং ফাহিম হোসেন ঐশ্বর্য্য’র জামিন মঞ্জুর করেন। জাকির হোসেন বিপ্লব মহানগর শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এবং খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন মোঃ নয়ন, হৃদয়, মিন্টু, দিপু, আবু সাঈদ, আশরাফুল, আজিজ ও সেলিম মৃধা। 

আদালত সূত্রে জানা য়ায়, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বিগত কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ একলাছ শেখের সঙ্গে নির্বাচন ও বিভিন্ন অনিয়ম এবং ইউনিয়নের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে বিপ্লবের বিরোধ ছিল। এ কারণে একলাছ শেখ একটি প্রাইভেট কার ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাতো। প্রাইভেট কার ভাড়ায় চালানোর জন্য বিপ্লব তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।  

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে টার্মিনাল এলাকায় পৌঁছালে চাঁদার দাবিতে তাকে মারধর করে ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাকি টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলে। এছাড়া প্রতিদিন একশ’ টাকা করে দেয়ার জন্য বলে হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর সোনাডাঙ্গা থানায় জাকির হোসেন বিপ্লব ও তার ছেলে ফাহিম হোসেন ঐশ^র্য্যসহ  ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে একলাছ শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন (নং-১৭, তাং-২৬/০৯/২০২৪)।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিপ্লবের বিরুদ্ধে খালিশপুর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আরও তিনটি মামলা হয়েছে। মামলা হলেও তিনি প্রকাশ্যেই মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

যাযাদি/ এসএম