কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফের ১৯ টি পয়েন্টে দিয়ে সক্রিয় মাদক ও অস্ত্র চোরাকারবারিরা। বিভিন্ন সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে মাদক ও অস্ত্রের চালান প্রবেশ করলেও আটকা পড়েন দায়িত্বে থাকা চৌকস 'এ্যাডিশনাল এসপি হাফিজুর রহমানের হাতে। গত তিন বছর মাদক, অস্ত্রসহ নানা চোরাকারবারিদের আতংকের হয়ে উঠেছে। মাদককারবারিরা এসময় সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। তারা বর্তমানে বন্ধ থাকা উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত থেকে টেকনাফের লেদা পর্যন্ত মাদক পাচারে রুট ব্যবহারে তৎপর হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে এসপি হাফিজ বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে ইয়াবার বড় চালান ও অস্ত্র উদ্ধার করে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজারের স্থানীয় প্রতিনিদের মতে সীমান্ত দিয়ে মাদক-অস্ত্রবাজি ঠেকাতে প্রশাসনের সহায়তায় তারা নিজেরাও কাজ করছে। কোন মাদক কারবারি মাথাছাড়া দিয়ে উঠার আগেই তাকে থামানোর পরামর্শ তাদের।
র্যাব-১৫ এর টেকনাফ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত এ্যাডিশনাল এসপি মো. হাফিজুর রহমান সফলতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, মিয়ানমান থেকে মাদক অস্ত্র পাচার করতে 'এ্যাডিশনাল এসপি হাফিজকে সরাতে কোটি টাকার মিশন নিয়ে নেমেছেন সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
র্যাব সূত্র মতে অভিযানে উদ্ধার, ২০২২ সালে ইয়াবা ১০, ২১০৫০ ইয়াবা যার আনুমানিক বাজারমূল্য সাড়ে ৩০কোটি টাকা। এছাড়া ওই বছর ৪৯৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, ৩৩৭.৯ লিটার বিদেশি মদ, ৬৩৭ ক্যান বিয়ার, ২ টি একনলা বন্দুক, ১ টি এসএমজি, ২টি এলজি, একটি পিস্তল, ১০ রাউন্ড গুলিসহ আসামি গ্রেফতার করেন ১৬৫ জন।
২০২৩ সালে ২৪ লাখ ইয়াবা যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭কোটি টাকা। ২৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইস যার বাজার মূল্য ১৩কোটি টাকা। অস্ত্রসহ আসামি গ্রেফতার করেন ২৫৭ জন।
২০২৪ সাল ১১লাখ ইয়াবা যার মূল্য ৩কোটি টাকা। এছাড়া- ৪০টি অস্ত্র, ১১৮ রাউন্ড বুলেট, ৩৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ আসামি গ্রেফতার করেন ১৪৫ জন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি নুরুল আলম বলেন- মাদক ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো এখন মিলেমিশে একাকার। তাদের জন্য বড় বাধা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চৌকস ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। প্রতিনিয়ত মাদক ্আটক করায় র্যাবকে ধন্যবাদ জানান।
উখিয়ার পালংখালী এলাকার সমাজপতি মিজানুর রহমান বলেন- মুক্তিপণ আদায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপহরণ, স্বর্ণ চোরাকারবার, ইয়াবা কারবারিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে সিন্ডিকেটকে। এরাই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে র্যাব-১৫ এর টেকনাফ সিপিসি-২ হোয়াইক্যং ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এ্যাডিশনাল এসপি মো. হাফিজুর রহমান বলেন- দায়িত্ব নেবার পর থেকে সরকারের দেয়া মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছি। অস্ত্র ও মাদকের ব্যাপারে কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় নয় বলে জানান তিনি।
যাযাদি/ এস