সুবর্ণচরে ইটভাটা বন্ধে ৭ দিনের আল্টিমেটাম

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৪৮ | আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:০৫

সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত

সুবর্ণচরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০টি ইটভাটা। যার বেশির ভাগ ভাটায় ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঁচা কাঠ। অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলী জমির মাটি। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি।

কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্য। দীর্ঘদিন ধরে এ ইটভাটাগুলো চললেও এ বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। নিরূপায় হয়ে এ ইটভাটাগুলো বন্ধের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে স্থানীয়রা মানুষ।

ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় সুবর্ণচরের সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মারক লিপি দেওয়া হয়। এ কর্মসূচিতে কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী’সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আগামী ৭দিনের মধ্যে ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে উপজেলা প্রশাসন ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন স্থানীয়রা।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ইটভাটাগুলোতে গাছ, মাটি ও ইট পরিবহনের জন্য যে ট্রাক্টর-পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়, যার কারনে গ্রামীণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। কালেভদ্রে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান হলেও প্রতিটি ভাটায় জিকজাক চিমনির পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক বাংলা চিমনি। অথচ ২০১৩ সালে ইটভাটা সংক্রান্ত এক পরিপত্রে বাংলা চিমনি অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে নিরব ভূমিকায় পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসন’সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থাগুলো। তবে উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন নোয়াখালী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ কীে আসছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙুল দেখিয়ে ও ম্যানেজ করে চলছে অবৈধ ভাটাগুলোর এমন কার্যক্রম অভিযোগ স্থানীয়দের।

তারা আরও জানান, ইটভাটার কালো ধোয়া আশপাশের পরিবেশ দূষিত করে তুলছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইটভাটা এলাকাগুলোতে অন্ধকার নেমে আসে। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। পুড়ে যাচ্ছে কাঁচা গাছপালা, অসুস্থ হচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ’সহ মানুষজন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবদল নেতা বেলাল হোসেন সুমন, মো. রিয়াজ উদ্দিন শাকিল, চরআমান উল্যাহ এক্স স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি আরমান হোসেন,  ওমর ফারুক, নুরুল আলম শামীম প্রমখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন সরকারকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

যাযাদি/এআর