ধর্ষক যুবককে বিয়ে করতে দুই তরুণীর অনশন

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:১২ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামে এক তরুণকে বিয়ে করতে অনশন করেছে দুই তরণী। শনিবার রাত ৮টার দিকে ওই গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহীনকে বিয়ে দাবিতে অনশন করে তারা।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে পার্শবর্তী হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে অবস্থান করে। রুনা খাতুনের আসার খবরে সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের  মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনও বিয়ে দাবিতে তার বাড়িতে আসে। এক যুবকের বাড়িতে দুই তরুণীর অবস্থানের খবর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘ দুই বছর ধরে রুনার সাথে শাহীনের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। তাদের দুই পরিবার তাদের বিয়েতে রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলার আসামি হওয়ায় পরে তার পরিবার তাদের বিয়েতে অস্বীকৃতি  জানায়। এরপর রুনাকে পরিবার থেকে তার অমতে বিবাহ দিতে গেলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে শাহীনের বাড়িতে উঠে। 

অন্যদিকে গত দুই মাস হলো সাদিয়া নামে আরেক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে  শাহীনের। প্রেমিকের বিয়ের কথা শোনার পর সাদিয়াও তার বাড়িতে আসে বিয়ের দাবিতে। 

রুনা বলেন,  শাহিনের সাথে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। আমাদের বিয়েতে দুই পরিবারই রাজি ছিল। কিন্তু শাহীন ধর্ষণ মামলায় আসামি হওয়ায় আমার পরিবার আর মেনে নেয়নি। শুক্রবার আমার বিয়ের জন্য পরিবার থেকে চাপ দেয়। কিন্তু আমি শাহিনকে ছাড়া অন্য কারো বিবাহ করবো না। আমি ওকেই বিয়ে করবো। 

অন্য প্রেমিকা সাদিয়া খাতুন বলেন, শাহিনের সাথে দুই মাস হয়েছে সম্পর্ক। শাহিন তাকে বিয়ের জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি বাড়ি থেকে তার বাড়িতে আসি। তখন শাহিনের বাড়ির লোকজন ঝামেলা করাই সেদিন বিয়ে হয়নি। আজ শাহিনের বাড়িতে আরেক মেয়ে আসছে বিয়ের দাবিতে। আমি তো ওকে ভালবাসি। আমকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে প্রেমিক শাহিন বলেন, আমাকে বিয়ে করতে যে দুই মেয়ে আসছে। তাদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এখন নেই। তবে তারা যেহেতু তাকে বিয়ে করতে বাড়িতে চলে আসছে, তাদের দুইজনকে বিয়ে করতে কোন আপত্তি নেই। দুইজনকেই বিবাহ করতে রাজি।

হলিধানী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার জানান, রাতে সাদিয়া নামের ওই মেয়েটি তার বাড়িতে ফিরে গেছে। আর রুনাকে শাহীন বিয়ে করেছে।


যাযাদি/ এসএম