বহু রক্তের বিনিময়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জিত হলো : সৈয়দ এহসানুল হুদা
প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬

বহু রক্তের বিনিময়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জিত হলো। একথাটি গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে ৭ নভেম্বার জাতীয় বিল্পব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিল্পব ও সংহতি দিবস এবং গণতন্ত্র উত্তরনে নবদিগন্তের সূচনা শীষক আলোচনা সভায় কারপাশা ইউনিয়নের সাবেক চার বারের চেয়ারম্যান, নিকলী উপজেলা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ. ছাত্তার সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রে দেশে নানা ধরনের রারনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট দীর্ঘদিন লড়াই করে বহু সাথীর রক্থের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনকে সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনরত সকল সংগঠনের জাতীয় ঐক্য আরো সুদৃঢ় করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে সংস্কার কার্যক্রম প্রয়োজন এটা প্রথম বিএনপি উপলব্ধি করেছে এবং ৩১ দফা সংস্কার কার্যক্রম জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্তর্বতী সরকারকে দ্রæত প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিল্পব ও সংহতি দিবস জাতির জীবনে একটি মহান ও অতীব মর্যাদাময় বিজয়ের দিন। এই দিনে আধিপত্যবাদী শক্তির পরাজয় ঘটে। ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসায় গৃহবন্দী সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতা স্বতঃস্ফ’র্ত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুক্ত করে আনেন। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে জাতি ভয়াবহ নৈরাজ্য ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে দেশ রক্ষা পায়। জাতি ফির আসে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারায়। শহীদ জিয়াউর রহমতান বাকশালী স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র বাক- ব্যক্তি ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছেন, খালকাটা বিল্পব করে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধির শিখরে এগিয়ে নিয়েছেন। তার সময়ে দেশে উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি হয়। আওয়ামীলীগ দেশে স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গণতন্ত্র বাক-স্বাধীনতা হরণ করে দেশের সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। একইভাবে শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থা ছিল বাকশালের দ্বিতীয় সংস্কারণ।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনো ষড়যন্ত্র বিস্তৃত এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজনী জাতীয় ঐক্য এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা জনগণের আকাক্সক্ষার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাব।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ সভাপতি এ্যাডঃ শাহ আলম, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসিমুল হক, নিকলী উপজেলার যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম লিটন, আশরাফুল আলম আশরাফ, বাজিতপুর উপজেলা যুব দলের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খোকন ও বাজিতপুর উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মাহমুদ, বাজিতপুর পৌর যুব দলের সাবেক আহবায়ক তানভীরুল হক খান সোহেল প্রমুখ।
যাযাদি/ এসএম