তালায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে মাছের তৈরি চপ-সিঙ্গাড়া

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
ছবি-যায়যায়দিন

নদী মাতৃক দেশে বসবাস আমাদের। তাই জন্ম সূত্রে আমাদের মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলা হয়। সংগত কারনেই দিন দিন মাছের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি করতে কাজ করে যাচ্ছে, তালা উপজেলার বে-সরকারী সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টা। 

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কয়েক হাজার চাষিদের নিয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফের) অর্থায়নে সংস্থাটি সেই ২০১২-২০১৩ সাল থেকে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষিদের মাঝে প্রশিক্ষণ, আর্থিক অনুদান, কারিগরি পরামর্শ ও নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্প্রসারণ এবং সে ব্যাপারে কৃষকদের মাঝে সচেতনাতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন মাঠ দিবস, কর্মশলা, তথ্য -পরামর্শ সভা, বিলবোর্ড স্থাপন এবং বিভিন্ন লিফলেট বিতরণ করে আসছে। 

এসব কারণে তালার প্রন্তিক জনগোষ্ঠী এখন মাছ চাষে এগিয়ে এসেছে, কিন্তু তারা মাছের আশানুরূপ দামটা পাচ্ছে না। এজন্য মাছ চাষিদের কথা মাথায় রেখে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেস্টা পিকেএসএফের আর্থিক সহায়তায় তালাতে ২ জন উদ্যোক্তাও তৈরী করেছে। যাতে করে মাছের বিক্রয় ও ব্যবহার বৃদ্ধিপায়। তাই মাছ ফিলেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ভেল্যু এডেড প্রোডাক্ট ফিস সিঙ্গাড়া, ফিস রোল, ফিস চপ, ফিস বলসহ বাহারি রকমের খাবার তৈরী ও বিক্রয়ে ব্যস্ত দোকানীরা যাকে বলা হচ্ছে “রেডি-টু-ইট”। 

তথ্যনুসন্ধানে জানাযায়, ইতিমধ্যে উন্নয়ন প্রচেষ্টার সহয়তায় তালা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মাছের ফুড আইটেম তৈরী। তার মধ্যে রয়েছে, তালা সরকারী কলেজ রোডে যমুনা সুইটস ও মৎস্যপণ্য উৎপাদন ষ্টোরে এবং খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের আশাননগর মোড়, ত্রিশমাইলের পান্ডে হোটেল এবং রেষ্টুরেন্টে এসকল ফাষ্টফুড আইটেম পাওয়া যাচ্ছে। 

এব্যাপারে যমুনা সুইটস এর মালিক বাসুদেব ঘোষ জানান, বাজারে তৈরী সাধারণ চপ, সিঙ্গাড়ার চেয়ে আমাদের এখনে মাছের ফিলেট ব্যবহার করে যে সকল ভেল্যু এডেড প্রোডাক্ট তৈরী করা হচ্ছে যেমন ফিস সিঙ্গাড়া, ফিস রোল, ফিস চপ, ফিস বলসহ বাহারি খাবার তার চাহিদা অনেক বেশি। যার কারণে আমরা ঐ সকল পন্য তৈরীতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি।

যমুনা সুইটসের পার্শ্ববর্তী সেলুনের দোকানদার রাম প্রসাদ রায় দুষ্টু বলেন, বাজারের সাধারন ভাজ্য খাবারের চেয়ে মাছের তৈরী সিঙ্গাড়া, রোল, চপ ইত্যাদি খাবার স্বাদে গুনে পরিপূর্ণ। সেকারনে দেখছি আমাদের পাশাপাশি দুরদরন্ত থেকে আগত ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে মুখরোচক এসব খাবার খেতে।

এ ব্যাপারে সিনিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিক ইমাম জানান, উন্নয়ন প্রচেষ্টা তালাতে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চাষিদের সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এবার তারা চাষিদের কথা মাথায় রেখে তালা উপজেলায় ২ জন তরুন উদ্যোক্তা নিয়ে মাছের তৈরি ফুড আইটেম তৈরি করছে যেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। তালা তথা সারাবাংলাদেশে এগুলো ছড়িয়ে গেলে চাষিদের লাভের পাশাপাশি বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

যাযাদি/ এআর