লামায় বাগানের সেগুন গাছ কেটে জায়গা জবর দখলের অভিযোগ
প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩

বান্দরবানের লামা উপজেলায় বেড়েই চলেছে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ। এ ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে উপজাতী এক পরিবারের সৃজিত বাগানের ৩০ বছর বয়সী ২৮টি সেগুন গাছ কেটে জায়গা জবর দখল চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের দুঃখ পাহাড়ে ঘটনাটি ঘটে। এতে বাগান মালিকের প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উছাইনুং মার্মা বাদী হয়ে পৌরসভা এলাকার চাম্পাতলী মাঝি পাড়ার বাসিন্দা মো. জাফরের ছেলে মো. মন্নানের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজায় উছাইনুং মার্মার স্বামী আপ্রুসে মার্মার ৫ একর তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা আছে। বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে সেগুন বাগান সৃজন করে দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা ভোগ করে আসছেন। সম্প্রতি এ জায়গার উপর পাশের মো. মন্নানদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জায়গা জবর দখলে নিতে বিভিন্ন পাঁয়তারা শুরু করেন। একপর্যায়ে গত ২ ডিসেম্বর পূর্বপরিকল্পিতভাবে মন্নান গং বাগানের ২৮টি সেগুন গাছ কেটে ফেলে। পরবর্তীতে তারা কেটে ফেলা গাছ থেকে অর্ধেক গাছ শ্রমিক লাগিয়ে সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে বাগান মালিক উছাইনুং মার্মা জবরদখলকারী মন্নান গংদের গাছ কাটায় বাধা প্রদান করেন এবং প্রতিকার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যানকে দায়িত্ব দেন। ৩ ডিসেম্বর হেডম্যান উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে জায়গা তদন্ত করে উভয় পক্ষকে ঐ জায়গাতে প্রবেশ না করার জন্য বলা হয়। কিন্তু মো. মন্নান গং হেডম্যান কথা অমান্য করে বরং ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) কেটে ফেলা ১৪টির মত গাছ আগুনে পুড়ে দেন। উছাইনুং মার্মা জানায়, মন্নানরা আমাদের সৃজিত ২৮টি গাছ কেটে ও পুড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মো. মন্নান জানান, আমরা আমাদের বাবার নামীয় জায়গা। তাই আমরা কাজ করছিলাম। এরপরও অভিযোগ করার কারণে আমরা কাজ বন্ধ রাখি এবং উছাইনুং মার্মার জায়গার পাশে যাইনি। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে আমরাও অভিযোগ করবো।
২৯৩নং ছাগল খাইয়া মৌজা হেডম্যান মংক্যচিং মার্মা বলেন, মন্নানরা গাছ কেটে আগুন লাগানোর ঘটনা তারা অন্যায় করেছে। উছিংনুং মার্মার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত চলছিল। এছাড়া বিষয়টি সমাধা না হওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষকে বিরোধীয় জায়গায় না যেতে নিষেধ করা হয়েছিল।
এদিকে এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রিদুয়ান।
যাযাদি/ এসএম