আওয়ামী লীগ নেতার দখলে চার একরের সরকারি পুকুর

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৮ | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৭

মো. আবু হেনা, আজমিরীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
ছবি: যায়যায়দিন

আজমিরীগঞ্জে জলসুখা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মিনু মিয়া ৪ একর আয়তনের একটি সরকারি পুকুর দখল করে এতে মাছ চাষ করছেন। ইউনিয়ন তহশিল অফিস সংলগ্ন এই কাচারি পুকুরে মাছ চাষ করে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা আয় করলেও সরকারকে দিচ্ছেন না রাজস্ব।

স্থানীয়রা জানান, ওই পুকুর লিজ দিয়ে সরকার প্রতি বছর ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করতে পারতো- কিন্তু প্রভাবশালী আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে সেটি দখল করে রেখেছেন।

তাঁরা আরও জানান, ইউনিয়নের ১নং খাস খতিয়ানে ২৮০ দাগের ৪ একর থেকে বেশি আয়তনের এই পুকুরটি প্রায় ৩ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতার কব্জায়। এতে সরকার ১৫ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।

তহশিলদার নিলুপম দাস অল্পদিন হল জলসুখায় দায়িত্ব নিয়েছেন উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে বলেন, মিনু মিয়া ৩ বছর ধরে কাচারী পুকুরে মাছ চাষ করছেন। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মতিউর রহমান খান তাঁকে মাছ চাষের অনুমতি দিয়েছেন বলেও এলাকায় প্রচার করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জমিদার গিরীশ চন্দ্র রায় ব্রিটিশ শাসনামলে জলসুখা গ্রামে একটি আটচালা কাচারী ঘর নির্মাণ করেন ও একইসাথে পুকুরটি খনন করেন। জমিদারের মেয়ে সেখানে অবকাশ যাপন করতেন।

পরে জমিদারদের দেশত্যাগের পর কাচারী পুকুরটি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকার সুবাদে মিনু মিয়া ৩ বছর আগে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি দখল করে নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মিনু মিয়ার দাবি, তিনি পুকুরটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কারনে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মতিউর রহমার খান ৩ বছরের জন্য মাছ চাষের জন্য মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছেন

এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মুজিবুল ইসলাম বলেন, কাচারী পুকুরটি ভূমি অফিসের আওতায় রয়েছে, এটি কাউকে দেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বেআইনীভাবে মাছ চাষ করে থাকলে সেই মাছ তুলতে দেয়া হবে না।

যাযাদি/ এসএম