ইন্দুরকানিতে সেতু ভেঙে দুর্ভোগে দুই উপজেলার মানুষের ভোগান্তি
দুই বছরেও মেরামত হয়নি ভেঙে পড়া সেতু
প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:২৮

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে পড়ার দুই বছরেও মেরামত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে দুই উপজেলার হাজারো মানুষ। দীর্ঘ দুই বছর আগে ঘোষেরহাট বাজার সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটি ধসে পড়ে। স্থানীয় লোকজন চলাচলের জন্য সুপারি গাছ দিয়ে পথচারীদের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা করেছে। তবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পাশের জেলা বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে দুই উপজেলার হাজারো মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বর চরহোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম, পেশায় ভ্যানচালক, জানান, ‘আমরা প্রতিদিন যাত্রী ও মালপত্র নিয়ে মোড়েলগঞ্জ থেকে ইন্দুরকানী যাতায়াত করতাম। কিন্তু সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে থাকায় আমরা চলাচল করতে পারছি না। এতে আমাদের আয়-রোজগার কমে গেছে এবং সংসার চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’
মো. সোলায়মান হোসেন (রনি) নামের একজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, ‘মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাই। প্রতিদিন ইন্দুরকানী থেকে যাত্রী নিয়ে মোড়েলগঞ্জ হয়ে শরণখোলা ও মোংলা পর্যন্ত যাতায়াত করি। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।’
৪ নম্বর ইন্দুরকানী সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম মাতুব্বর জানান, “সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করত। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সব শ্রেণির মানুষের সমস্যা হচ্ছে। আমি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।”
ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. আখতারুজ্জামান (লাভলু) বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক কষ্ট করে লোকজন যাতায়াত করছে। ফলে দুই উপজেলার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।”
ঘোষেরহাট বাজার কমিটির সাবেক সেক্রেটারি আ. লতিফ সিকদার জানান, “কয়েক বছর আগেই সেতুটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ার পরও এর জন্য কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।”
ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন বলেন, “ঘোষেরহাটের সেতুটি নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এতে কিছুটা সময় লাগবে।”
যাযাদি/ এসএম