মধুপুরে বিরোধপূর্ন জমি থেকে গাছ কাটার অভিযোগ
প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:৪৮

জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে জোরপূর্বক বসত বাড়ির জমি পরিমাপ বাড়ি ঘরে হামলা ও গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি দক্ষিণ পাড়া জোয়াদ আলী মোড় এলাকায়। তবে অপর পক্ষ বলছে তাদের ওয়ারিশ বুঝিয়ে না দেয়ায় দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। চলছে মামলা মোকদ্দমা। পারিবারিক দুরত্ব বেড়েই চলছে। বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি স্থানীয়দের।
জানা যায়, মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের জোয়াদ আলী মোড়ে ছাবেদ আলী মন্ডল তিন ছেলে ও মেয়ে রেখে মারা যায়। প্রত্যেক ছেলে ও মেয়ে মা তার বাবার রেখে যাওয়া খাস জরি ওয়ারিশের ভাগিদার। সে জমি নিয়েই পারিবারিক ভাবে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তাদের জমির বিরোধ কে কেন্দ্র করে গ্রামে কয়েক দফায় শালিস দরবার হয়েছে। মামলা মোকদ্দমা হয়েছে নিজেদের মধ্যে। খাস জমি নিয়ে পারিবারিক সমস্যা দিন দিন জটিল হচ্ছে। দুরত্বও বাড়ছে ক্রমাগত বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সাখাওয়াত হোসেন শাকু জানান, তাদের জমি জমা নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে গত ৮-১০ দিন আগে বিবাদী পক্ষ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রোস্তম আলী কে নিয়ে এসে তার বসত ভিটার জমি মাপতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তার বাড়ির পাশে থাকা ৮-১০ টি গাছ কেটে ফেলে। তার থাকা ঘরে দুই জায়গায় কুপায়। তিনি জানান, তারা তার ক্রয় কৃত জমিতে এমন জোড় খাটানোর ফলে নিরুপায় হয়ে পড়েছে। তাদের ভয়ে সে কোথাও কোন অভিযোগও দিতে পারেনি এমন অভিযোগ তাদের।
তার স্ত্রী জোস্না বেগম জানান, ঐ দিন বাড়িতে তার স্বামী ছিল না। মাঠে কাজ করতে গিয়ে ছিল। তারা এসে জোড় পূর্বক বাড়ির সীমানায় খুটি গেড়ে যায়। তাকেও হেনেস্তাা করার কথা জানান জোস্না বেগম। তার দাবি এ জমি তার স্বামীর কেনা জমি। তিনি জানান,ওরা ওয়ারিশ পাবে তারা দিবে। তবে তাদের নামে দায়ের করা মামলা তোলে নিতে হবে , এখনও তাদের কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এজন্য তিনি মামলা তোলে নেয়ার দাবি জানান।
হরিণধরা এলাকা থেকে ওয়ারিশ দিবে বলেও জোস্না বেগম জানান।
শাকুর চাাচা জানান, এটি তাদের পারিবারিক সম্পত্তির একটি অংশ শাকু কিনেছে। তারমতে, এ জমির কোন রেকর্ড নেই। খাস খতিয়ান। এ জমি নিয়ে অনেক দিনের বিরোধ। শালিশ দরবার করলেও বিবাধীরা মানতে চায় না। এর মধ্যে গত কয়েক দিন আগে জমি মেপে সীমানা খঁটি গাড়ায় তারা হতাশ। বাড়িঘরের গাছ কাটা ও ঘরের বেড়া কুপানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বিষয়টি সঠিক বিচার ও সুরাহার দাবি করেন। এসব তথ্য স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শোলাকুড়ি ইউপি সদস্য রোস্তম আলী বলেন, এখানে তার মা বোন ওয়ারিশ পায়। তারা দিতে চাচ্ছে না । কয়েক বার শালিশ করেও বিষয়টি মিটানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি শালিশের তারিখ দিলে তারা হাজির হয়নি। পরে শালিশের উপস্থিত মাতব্বরেরা পূর্বের শালিশ অনুযায়ী বাড়ির দক্ষিণ পাশ দিয়ে রাস্তা ও মা বোনের জমি পরিমাপ করে সীমানা বের করে। রাস্তা বের করার জন্য কয়েকটি ছোট গাছ কাটা হয়েছে। জোড় পূর্বক নয়। সবাই থেকেই পথ বের করার জন্য করা হয়েছে। তার মতে, শাকুরা শালিশ মানে না।
মা বোনের ওয়ারিশ দিতে চায় না। তার মা অসুস্থ চিকিৎসারও দরকার। ঘরের বেড়া কুপানোর অভিযোগও তিনি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি ও শোলাকুড়ি ইউনিয়নের প্রশাসকের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত রিফাত আনজুম পিয়া বলেন, ভাই বোনের মধ্যে নাকি জমি বিরোধ শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে তিনি পরিষদে দুপক্ষ নিয়ে বসবেন বলে জানান।
যাযাদি/ এমএস