শায়েস্তাগঞ্জ ১৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৭

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় দ্রবমূল্যের বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অভিযান পরিচালনা করে নানা অনিয়মের কারণে ১৫ দোকানদারকে ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ড্রাইভার বাজার, থানা রোড ও পুরান বাজার বাজার মনিটরিং কার্যক্রমের অভিযান পরিচালনা করে ওই পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হয়। 

মাধবপুর শাহাজীবাজার আর্মি ক্যাম্পের দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন আরাফি তাজওয়ার আমিনের (১৩ ইবি) নেতৃত্বে একটি টহল টিম শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব হোম দাসের উপস্থিতিতে এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযানে মেসার্স  ইদ্রিস আলীর দোকানের দ্রব্যমূল্যের গায়ের রেটের  চেয়ে  দাম বেশি নেওয়া ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় ৩ হাজার  টাকা, মেসার্স জালালাবাদ স্টোরের মালিক হাজী মোঃ আব্দুল কাইয়ুমের দোকানে সয়াবিন তেলের গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ২ হাজার টাকা, রাসেল মিয়ার মাংসের মূল্য তালিকার রেটের থেকে বেশী নেওয়ায় ১ হাজার ৫০০ টাকা, 

মোঃ হিরাজ মিয়ার দোকানের সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য মুছে বেশি দামে বিক্রি করায় ১ হাজার টাকা, পুরান বাজারের মোঃ ময়না মিয়া মাংসের দোকানে মূল্য তালিকা খেকে বেশি নেওয়ায় ১ হাজার টাকা, বিশ্বজিৎ  পালের দোকানে সয়াবিন তেলে গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ১ হাজার টাকা, মেসার্স হাজী সামাদ ট্রেডার্সে নিষিদ্ধ  পলিথিন বিক্রি  করায় ৫ হাজার টাকা, পূর্ণ পাল স্টোরে অতিরিক্ত সয়াবিন তেল ও চিনি গুদামজাত করায় ২  হাজার টাকা, মরগু মিয়া দোকানের সয়াবিন তেলের গায়ের মূল্য মুছে বেশি দামে বিক্রি  করায় ২ হাজার টাকা, সুমন মিয়া স্টোরে সয়াবিন তেলে গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ১ হাজার টাকা, মোস্তাক হাসান স্টোরে সয়াবিন তেলে গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ২ হাজার টাকা, বিমল পাল স্টোরে অতিরিক্ত সয়াবিন তেল ও চিনি গুদামজাত করার  ৫ হাজার টাকা, 

হামিদুর রহমান স্টোরে সয়াবিন তেলের গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ৩ হাজার টাকা, মোজাহিদ  স্টোরে সয়াবিন তেলে গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ২ হাজার টাকা, আব্দুল করিম স্টোরে সয়াবিন তেলে গায়ের রেট থেকে বেশি বিক্রি করায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

এছাড়া অবৈধ পলিথিনগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মাধবপুর আর্মি ক্যাম্পে (১৩ ইবি) ল্যা. কর্পোলার সাইদুল ইসলাম।

যাযাদি/ এমএস