ফেসবুকে ক্ষমা চাইলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে কটুক্তি করা সেই ব্যক্তি
প্রকাশ | ১৫ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৯

বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কটুক্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার পর পুলিশের অভিযান থেকে পালিয়ে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি ভিডিও দিয়েছেন কথিত মানসিক ভারসম্যহীন সায়েদ মল্লিক।
শনিবার (১৫মার্চ) সকালে তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে ৩ টি ভিডিও পোস্ট করা হয়, যেখানে তিনি প্রথমে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করায় ক্ষমা প্রার্থনা করে সারাজীবন বিএনপির কর্মী হিসেবে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি বেশ কয়েককবার ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগানও দেন।
এর আগে, সায়েদ মল্লিক তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করে একটি ভিডিও পোস্ট দিলে মুহুর্তের মধ্যেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। অবশ্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তৎপরতার পরে তা আবার ডিলেটও করে দেয়া হয়।
স্থানীয় ও একাধিক জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে কুন্ডেরচর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইমান খার সাথে কথা বলে জানা যায়, কুন্ডেরচর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সরল খার কান্দির মৃত অহু মল্লিকের ছেলে সায়েদ মল্লিক(৬৫) প্রায় ৪-৫ বছর আগে থেকেই একজন ভবঘুরে টাইপের মানুষ এবং কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। যার ফলে, যে কেউ তাকে উস্কানি দিলেই সে যেকোনো কিছু করে ফেলে। যার ফলে, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয় তার পরিবারকে।
অভিযুক্ত সায়েদ মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী আসমা বেগম জানান, তিনি মানসিকভাবে কিছুটা উদাসীন বা ভবঘুরে টাইপের মানুষ। সংসারের খোঁজখবর রাখেন না ঠিকমতো, যার ফলে সে কখন কোথায় থাকে এবং কি করে বা কি বলে তা নিয়ে সমাজের মানুষজন তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখে না। তবে তার এসব কর্মকাণ্ডের ফলে আমাদেরকে বরাবরই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ শিকদার বলেন, দলের পক্ষ থেকে থানায় আমরা অভিযোগ দিয়েছি এবং তাকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছিলো। কিন্তু তাকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আর তার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি আপাতত বিবেচনায় না নিয়ে আগে তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে, পরে দেখা যাবে কি করা যায়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আকন্দ জানান, আমরা একবার অভিযান করেও তাকে ধরতে পারিনি কিন্তু আমাদের অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মৌখিকভাবে একাধিক অভিযোগ পেলেও এখনও পর্যন্ত আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। আটক করা সম্ভব হলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/ এমএস