দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৭

মাগুরায় ধর্ষকের ন্যক্কারজনক ক্ষত নিয়ে কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা গেছে ৭ বছরের শিশু আছিয়া।
আলোচিত ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ অভিযোগে শনিবার রাতে এক বৃদ্ধকে গণধুলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। অপর ধর্ষণের চেষ্টাকারী পলাতক রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের কারল সুরিচালা এলাকার মৃত বাহারুদ্দিনের ছেলে মোহর আলী (৫৯) ও নাটোরের সিংড়া থানার ক্ষিরপোতা বামিহাল এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে তফিজ উদ্দিন (৫০)।
এলাকাবাসী, শিশুদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন ৭ বছরের শিশু আছিয়া। ধর্ষকের ন্যক্কারজনক ক্ষত নিয়ে কয়েকদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে অবশেষে ১৩ মার্চ ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ওই শিশুটি মারা যায়।
এই আলোচিত ঘটনার প্রতিবাদ ও তাদের শাস্তির দাবীতে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় মানবন্ধন করেন এলাকাবাসী। কিন্তু ওই আলোচিত ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে কালিয়াকৈরে দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার বিকেলে উপজেলার কারল সুরিচালা এলাকায় মাদ্রাসায় পড়–য়া ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। ওই শিশু তার বাবা-মায়ের সাথে ওই এলাকার হাবিবুর রহমানের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
ওইদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শিশুটি ভাড়া বাসার পাশে খেলাধুলা করছিল। এসময় পেয়ারা খাওয়ার কথা বলে কৌশলে পাশের নির্জন বাঁশঝাড়ের ভিতরে নিয়ে নিয়ে যায় মোহর আলী। পরে তিনি ওই শিশুর মুখে চুমু খাওয়াসহ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এসময় ধর্ষণের চেষ্টাকারী দৌড়ে ঘটনাস্থলে থেকে পালিয়ে যায়। এসময় ধর্ষণেল চেষ্টাকারী মেহের আলী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে এলাকাবাসী।
পরে তাকে গণধুলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় শিশুটির বিউটি আক্তার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় নং ৩৩/১৫/০৩২৫ /৯(২১)২/২০ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন।
পরে পুলিশ মামলা রজু করেঅভিযুক্ত বৃদ্ধ মোহর আলীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে গাজীপুর
জেলহাজতে পাঠায়।অপরদিকে উপজেলার ডাইনকিনি এলাকায় ১০ বছরের অপর এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে ওই এলাকার ফরিদের বাড়ীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারী দুপুর ২টার দিকে শিশুকে দিয়ে পা টিপতে বলেন একই বাসার ভাড়াটে তফিজ উদ্দিন। প্রথমে শিশুটি সম্মত না হলে তিনি তাকে বিভিন্নভাবে ভুল বুঝাইয়ে তার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। পরে কক্ষের দরজা বন্ধ করে তাকে জোরপূর্বক ধরিয়া চুমু দিতে থাকেন তফিজ। এক পর্যায় তিনি ওই শিশুর পড়নের কাপড় খুলে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এসময় তার ডাক চিৎকারে তিনি আতঙ্কিত হলে শিশুটি কৌশলে দরজা খুলে বেড়িয়ে যায়। পরে সে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় ওই শিশুর মা ময়না খাতুন বাদী হয়ে রবিবার সকালে কালিয়াকৈর থানায় মামলা নং- ৩৫/১৬/০৩২৫ /৯(২১)২/২০ নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক ধর্ষণের ঘটনায় মোহর আলী নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও অপর ধর্ষণের ঘটনার আসামী পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যাযাদি/ এম