ঈদকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সরগরম দর্জিবাড়ি
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫০

ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার দর্জি ও থান কাপড়ের দোকানগুলো। আর কয়েকদিন বাকি পবিত্র ঈদুল ফিতরের। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দর্জির দোকানগুলোতে নতুন জামা-কাপড় তৈরির ভিড় বেড়েই চলছে।
এর ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জি দোকানে। ক্রেতারা ছুটছেন দর্জির দোকানগুলোতে উদ্দেশ্য, মনের মতো ঈদের পোশাক তৈরি করা। তাই দর্জি পাড়া এখন মহাব্যস্ত। বিরতিহীন সেলাই মেশিনের যান্ত্রিক শব্দ বলছে, দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগরদের। আর এ ব্যস্ততা চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত।
গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত পোষাক কারিগররা। সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোষাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবি তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দ। দর্জিপাড়ার কর্মব্যস্ত কর্মীরা। জমছে নতুন নতুন পোশাকের সারি।
ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট তৈরির যোগান দিচ্ছে স্থানীয় নামকরা সব টেইলার্স। সাথে পাঞ্জাবি তৈরির দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। পবিত্র শবে বরাতের পর থেকেই এই সব পোশাক তৈরির অর্ডার নেয়া শুরু হয়েছে। ১৫ রমজানের পর অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেন অনেক দোকানি। তাই প্রতিটি দর্জি দোকানের কারিগরদের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। রাত জেগে তৈরি করছেন নিত্য নতুন ডিজাইনের সব জামা-কাপড়। যেন কথা বলার ফুরসত নেই তাদের।
ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে দর্জিদের ব্যস্ততা ততই বেড়ে চলছে। সে জন্যেই কসবার আনাচে-কানাচে পাড়া-মহল্লাসহ প্রতিটি হাট বাজারে, সব বিপণি কেন্দ্রের দর্জি দোকানগুলোতে এখন কাপড় তৈরির ধুম পড়েছে। প্রতিটি দর্জি কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ঈদের প্রচুর কাজ জমে আছে দোকানগুলোতে। তাই কথা বলার সময়টুকুও নেই তাদের। দর্জি কারিগররা জানান,দর্জির দোকান গুলোতে ছেলেদের জন্য প্রতি পিস পাঞ্জাবী তৈরি করতে মজুরি রাখা হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর মেয়েদের কাপড় তৈরি করতে প্রতি পিস রাখা হয় ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা।
যাযাদি/ এসএম