সখীপুরে মানসিক প্রতিবন্ধীকে মারধরের অভিযোগ
প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২৫, ২১:০৪

সখীপুরে মানসিক প্রতিবন্ধীকে মারধর, চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোতালেব হোসেন (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তার কক্ষে তালা দিয়েছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৫টায় পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দেওয়া হয়। এদিকে আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মানববন্ধনে উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রবি, বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বিএম বজলুর রহমান, শিপু জামান বুলবুল, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা দাবি করেন- চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তা একজন মাদকসেবী, তিনি পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করে চলছেন। আমরা অনতিবিলম্বে এই চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালে ওই পরিষদের ভিজিএফের চাল বিতরণের নির্ধারিত তারিখ থাকার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনীর হস্তক্ষেপে সচিবের কক্ষটি খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে গত রোববার (২৩ মার্চ) বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা স্থানীয় মোতালেব হোসেন নামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তিকে মারধর করেন।
গতকাল সোমবার দুপুরের পর মোতালেব হোসেনকে লাথি মারার চার সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নেটিজেন ও স্থানীয়দের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম মুক্তার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ইউপি সদস্য জানান, মোতালেব হোসেন নামের ওই ব্যক্তি প্রথমে চেয়ারম্যানকে লাথি মেরেছেন। মূলত তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী, বিষয়টি চেয়ারম্যানের জানা ছিল না।
পরিবারের লোকজনও মোতালেব হোসেনের মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘লোকটি যে মানসিক ভারসাম্যহীন তা আমি জানতাম না। আমাকে ছোট করতে কোনো একটি পক্ষ ভিডিওটি কাটছাঁট করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। এখন যা হচ্ছে তা মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল রনী বলেন, ‘পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যাযাদি/ এম