‘যারা বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তারাই হ্যাঁ-না ভোট চায়’
প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৩১

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন , যারা দেশকে অস্থিতিশীর করতে চায় ,বিদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং এবং একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় তারাই গণভোটের নামে হ্যাঁ-ভোট চায়। তারা নির্বাচিত সরকার আসুক তা চায় না । তারা চায় অনির্বাচিত সরকার কথা চিন্তা ভাবনা করে এবং তাদের মাথায় এসব চিন্তা আসে।
তিনি এসময় বলেন ৫০টি জোটের একটি কথা তা হলো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে এবং নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের সংকট নিরসন করার কোন বিকল্প পথ নেই।
বৃহস্পতিবার দুপরে নোয়াখালীর চৌমুহনীর একটি রেস্টুরেন্টে জুলাই- আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভুত্থানে বেগমগঞ্জে শহীদ পরিবারের মাঝে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনরে পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, অন্ত্ত্তী সরকারের মধ্যে থেকে কয়েকজন উপদেস্টা পদত্যাগ করেছেন আবার কয়েকজন আছেন যারা ছাত্র রাজনীতি করেন। তারা হলে থাকতেন এবং মেসে থাকতেন। তারা এখন আগে পিছনে কয়েকশত গাড়ী বহর নিয়ে চলাফেরা করেন। বিলাস বহুল জীপন যাপন করছেন। তাদের জামা-জুতা-হাত ঘড়ি দামি দামি জিনিসপত্র ব্যবহার করেন। কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার করেছেন এবং কোটি কোটি টাকা খরচ করে দলের আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠান করেছেন। তারা আগে পড়তেন ৫শত টাকা পাঞ্জাবি এখন পড়েন ৩০ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি। হঠাৎ করে তাদের চেহারায় রশ্মি এসেছে। তারা প্রশাসনের তদবির করছে। অমুক কে অমুক জায়গায় দিতে হবে । এর থেকে জাতি মুক্তি পেতে চায়।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যেমন ১৯৯০ সালের গণঅভুত্থানে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জুলাই-আগষ্টে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক ভুমিকার কারণে বাংলাদেশে ৫০ টি দল নিয়ে যে জোট করেছেন তার কারণে শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। বুলু বলেন ১৯৯০ সালে দেশকে সংকট থেকে উত্তোরনের জন্য বিচারপ্রতি সাহাবুদ্দিন যেমনি ৯০ দিনের মধ্যে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ ভোট উপহার দিয়েছিলেন তেমন বর্তমান অন্তবর্ত্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুসও দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষনা করে নির্বাচন উপহার দিবেন।
তিনি বলেন ৫ আগষ্ট সেনাবাহিনী যদি শেখ হাসিনাকে তার মাতৃভুমি ভারতে না পাঠাতেন তাহলে দেশে আরো একটি ঘটনা ঘটত। আমাদের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনী । তারা যদি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মিতে যদি বিদ্রোহ ঘোষনা না করতো এবং তরুন মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা না দিতে তাহলে দেশ স্বাধীন হতো না। সেনবাহিনী হলো দেশপ্রেম সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীকে নিয়ে যারা বিতর্ক করতে চায় তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শত্রু
। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি সাবেক সদস্য শামীমা বরকত লাকী, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাস,সাধারন সম্পাদক মাহফুুজুল হক আবেদ, চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন, সাধারন সম্পাদক মহসিন আলম, বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রুস্তুম আলী সহ বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও চৌমুহনী পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের বিএনপিরও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এমএস