পরশুরামে পর্নোগ্রাফি মামলায় যুবদল নেতাসহ পাঁচজন আসামি
প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:২৬

দুই কিশোর-কিশোরীকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে মুঠোফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে পোস্ট করার অপরাধে স্থানীয় এক যুবদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে সোমবার (৭এপ্রিল) রাতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
ফেনী জেলা যুবদল দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত মোঃ আল-ইমরান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় মির্জানগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোঃ হাসান (মেহেদী হাসান) এর বিরুদ্ধে অসামাজিক ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে দলীয় অভ্যন্তরীন তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় যুবদলের সকল প্রকার পদ হতে অব্যহতি ও দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ফেনী জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির এক জরুরী সভায় আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের আলোচনাক্রমে গৃহিত হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামসুল আলম শাকিল যুবদল নেতা মেহেদী হাসানকে বহিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য গত শনিবার সকালে উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুরে একটি নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় দুই কিশোর-কিশোরী। এ ঘটনার যুবদল নেতার মোবাইলে করা একটি ভিডিও নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সেখানে দেখা যায়, ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মেহেদী হাসান ওই কিশোরীকে জোর করে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। মেহেদী হোসেন ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান কমিটির সদস্য।
এদিকে যোগাযোগ মাধ্যমে ওই কিশোরীর ভিডিও ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়। পরে যুবদল নেতা মেহেদী হাসান ক্ষমা চেয়ে ওই দিন রাতেই একটি ভিডিও বার্তা নিজের আইডিতে পোস্ট করেন।
মেহেদী হাসানকে বহিষ্কার করতে দলীয়ভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু।
রবিবার পৌর বিএনপির আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
অপরদিকে এঘটনায় কিশোরীর মা আকলিমা আক্তার অভিযুক্ত যুবদল নেতা সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রবিবার পরশুরাম মডেল থানায় পর্নগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন।মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মেলাঘর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে ওমর ফারুক আরিফ (১৭), মনিপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মাঈন উদ্দিন সৈকত (১৭) ও মির্জানগর গ্রামের নাইমুল ইসলাম রাফি (১৭)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কিশোরীর মা লিমা আক্তার মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আসামীরা জোরপূর্বক ভয়ভীতি ও ধমক দিয়ে আমার মেয়েকে অর্ধনগ্ন করার চেষ্টা করে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরবরাহ ও প্রচার করে।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাকসুদ আহমেদ জানান, ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
যাযাদি/ এমএস