নোয়াখালী-৫ আসনে নির্বাচনের আগেই ভোটের আমেজ

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১৯

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

ঐতিহাসিক ও ভৌগলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নোয়াখালী ৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসন। সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এর মৃত্যুর পর কার্যতঃ এ আসনের জাতীয়তাবাদী শক্তি স্তিমিত হয়ে পড়ে।

দলটির নেতা-কর্মীগণ হয়ে পড়েন নিতান্ত অভিভাবকহীন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে নেতা-কর্মীরা যখন দিশেহারা, তখনই এ আসনের জাতীয়তাবাদী তাঁবুতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ২০০০ সাল থেকে মওদুদ আহমদ সাহেবের রাজনৈতিক-সহচর দেশের বিখ্যাত আবাসন শিল্প প্রতিষ্ঠান মেট্রো গ্রুপ ও দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবন-বীমা কোম্পানী ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লি. এর বর্তমান চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, কোম্পানীগঞ্জ শাখার আহবায়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আলহাজ্ব মো. ফখরুল ইসলাম।

তিনি এ আসনের নেতাকর্মীদেরকে পরম যতেœ আগলে রাখেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দায়ের করা সকল  মামলা-মোকদ্দমাকে  মোকাবিলা করেন স্ব-উদ্যোগে। তিনি সবসময় সর্বাত্মকভাবে আহত নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ আসন থেকে হাসিনা-বিরোধী সকল আন্দোলনকে জোরদার ও বেগবান করার লক্ষ্যে দুর্বার ভূমিকা রেখে একজন সত্যিকারের জননেতা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ফলস্বরূপ হাসিনা-কাদের গং এর রোষানলে পড়ে তিনি নিজেই ঢাকা-নোয়াখালী মিলে প্রায় ২০টিরও অধিক রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়েছেন,  পুলিশি নির্যাতন সহ্য করেছেন এবং প্রায় দীর্ঘ ৫ মাসকারাগারে বন্দী ছিলেন। এমনকি খুনি হাসিনা তার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে মো. ফখরুল ইসলামের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে ।

এসব করেও রুখতে পারেনি মো. ফখরুল ইসলামকে বরং তিনি দিগুণ উৎসাহে নেতাকর্মীদের বটবৃক্ষের মত আগলে রেখে আন্দোলনকে আরও বেগবান কওে তোলেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ফেনী-মাইজদীসহ দেশের বিভিন্ন-স্থানে হাসিনা-বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচীকে সফল করার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।

ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর, আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম প্রতিশোধোন্মুখ না হয়ে তাঁর নেতা-কর্মীদেরকে ধৈর্য ধারন করে বিজয় উদযাপন করতে নির্দেশ দেন এবং কোনো রাজনৈতিক চাঁদাবাজকে প্রশ্রয় না দেওয়ার ঘোষণা দেন। ফলস্বরূপ ৫ আগস্ট-পরবর্তী  কোনো ধরনের অনিয়মের কাঁদা তাঁর গায়ে লাগতে লাগে নি ।

সম্প্রতি জনদরদী এবং আজীবন গণতন্ত্রকামী ফখরুল ইসলাম নোয়াখালী-৫ নির্বাচনী এলাকায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে গণ-সংযোগ করেন এবং বিভিন্ন উৎসবাদিতে সাধারণ মানুষের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতে জনতার কাতারে আপনভাইয়ের ন্যায় শামিল হন। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ এবার একটি অবিস্মরণীয় ঈদ উদযাপন করতে সক্ষম হন। এলাকায় তাঁর এ বিরামহীন পদচারনায় নির্বাচন না আসার আগেই এলাকায় একটি স্বতস্ফুর্ত নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।

তারঁ সকল কর্মযজ্ঞের ফলস্বরূপ দলমত নির্বিশেষে তিনি এখন এলাকার মানুষের একজন ভরসার পাত্র হিসাবে আভির্ভূত হয়েছেন।

বিএনপি নেতাকর্মীরা আশা করেন, বাংলাদেশের সর্বাধিক আলোচিত নোয়াখালী ৫ এ আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে নোয়াখালীতে বিএনপির হারানো গৌরব ফিরে পাবে।

যাযাদি/ এম