অরক্ষিত হয়ে পড়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স
প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৬

৫ই আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে পর দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট ও ভোগ দখলের পায়তারা করে একটি কুচক্রী মহল । দেশের অস্থিতিশীল মব জাস্টিস পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে চক্রটি ঝোপ বুঝে কোপ মেরে ভেঙে ফেলে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সীমান প্রাচীর । ইট, গ্রিল, রড বিক্রি করে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় । ফলে খোলামেলা পরিবেশে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ।
সেই সুযোগে গত ৮ মাসে চুরি-ছিনতাই সহ মাদকসেবীদের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে । অনিরাপদ পরিবেশে আছে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর । আতঙ্কে আছে অফিসার্স কোয়াটার্র ও ডরমিটরিতে বসবাসরত মানুষ । পরিষদ চত্বরের সীমানা প্রাচীর পুনঃনির্মাণ করে নৈশ প্রহরীর কড়া নিরাপত্তায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবী উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের সীমানা প্রাচীরের গ্রীল ও ইট ফের ভেঙে লুট করছে সুযোগ সন্ধানীরা । অন্যদিকে, উপজেলা পরিষদের পরিত্যাক্ত ভবনগুলোতে মাদক সেবনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এসব পরিত্যাক্ত ভবনের জানালা-দরজার চৌকাঠ, গ্রিল, বৈদ্যুতিক সুইচ, বাল্ব সহ সবকিছু উধাও ।
উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার ভূমি ও পৌর প্রশাসক মো. শামছুজ্জামান আসিফ, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. খবিরুজ্জামান খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেন, সব কাজেই নিরাপত্তা প্রথম প্রয়োজন । সেখানে উপজেলা প্রশাসনের দপ্তরগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ নথি, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম থাকে যা চুরি হয়ে গেলে জনস্বার্থ মূলক কাজে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটবে । সেদিক খেয়াল করে সতর্কতা অবলম্বন স্বরুপ দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সটি সীমানা প্রাচীরের আওতায় আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
মো. শামছুজ্জামান আসিফ আরো বলেন, বেশ কয়েকদিন গভীর রাতে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স মাঠ হতে কয়েকজন বখাটেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ।
উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নির্বাহী এলাকার বাসিন্দা মো. মমিন মিয়া, রেজা মিয়া, নাজমা বেগম সহ অনেকের ভাষ্য, উপজেলা পরিষদের পুকুর পাড়ের সড়কটিতে মাঝে মধ্যেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে । যার কারণ উপজেলা কমপ্লেক্সে অপরাধীদের আনাগোনা হরহামেশায় চলছে ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান দৈনিক যায়যায়দিনকে বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বরে চুরি ছিনতাই সহ বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে । এসব বন্ধে খুব শীঘ্রই উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সকে সীমানা প্রাচীরের আওতায় আনা হবে । রাতভর নৈশ প্রহরীর কঠোর নজরদারি থাকবে । সেইসাথে থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এলাকার নিরাপত্তা বেশ জোরদার করা হবে ।
যাযাদি/ এমএস