গরমের পর বৈরী আবহাওয়া
কিশোরগঞ্জের হাওড়ে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা
প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:২০

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলার হাওড় গুলোতে ধান কাটা নিয়ে ব্যস্ত কৃষক ও কৃষাণীরা। গতকাল সরেজমিন গেলে দেখা যায়, খরারপর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কৃষক ও কৃষাণীরা ঘরে কাঁচা ধান তুলছেন। ফলে বুরো মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই শুনা যাচ্ছে বন্যার ধ্বনি। তাই দ্রæত ধান কেটে ফেলার জন্য কৃষকদেরকে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাগিদ দিচ্ছেন।
একই সঙ্গে নির্দেশনাও জারী করছেন। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরে বলা হচ্ছে, এসব হাওড়গুলোতে ভারতের উপর দিয়ে সুনামগঞ্জে পানি আসার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। সেই কারণে কৃষকদেরকে পহেলা বৈশাখের আগে থেকেই ধান কাটা শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা যায়, এবছর শুকনা মৌসুমে বিপিডিবি, আরইবি’র মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন পানি সেচ প্রকল্প চালু থাকায় ইরি-বোরো, বিআর- ২৮ ধান চৈত্র মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ও ১লা বৈশাখের পর থেকে বিআর- ২৯ ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবছর প্রতি একরে ৭০-৮০ মন দর ধান হয়েছে। তবে প্রতি একরে সেচের জন্য ছিল ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
কিন্তু এবছর সরকারিভাবে নির্ধারিত ছিল ৪ হাজার টাকা। কোন কোন জায়গায় ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত সেচের বিল নিবে বলে কৃষকদের অভিযোগ। অন্য দিকে হাওড় অঞ্চলের নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষকরা মহাজনদের নিকট থেকে চরা সুদে টাকা নিয়ে জমি বুনন করে আসছে অনেক দিন বছর ধরে। কৃষক তার সুদের টাকা দিতে গিয়ে গোলা অর্ধেক খালি হয়ে পড়ে। এছাড়াও কৃষক সুদের টাকা দিয়েও তার গোলার ধান নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন। কারণ, তাদের ঘরে ধান থাকলে আর কোন চিন্তা থাকে না বলে অনেক কৃষক মনে করেন। সবিশেষে এবছর হাওড় অঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে কৃষকরা এবছর লাভবান হবে কারণ, কাঁচা ধান তারা খলার মধ্যে ৯ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ধান বিক্রয় করছে। বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা যায় যায় দিন প্রতিনিধিকে বলেন, এ বছর হাওড়ে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যাযাদি/ এমএস