চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল পটুয়াখালীতে স্থাপনের দাবি

প্রকাশ | ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৫৪

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

চীনের উদ্যোগে নির্মিত চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ জেনারেল হাসপাতাল পটুয়াখালী জেলায় স্থাপনের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রদান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলীপী প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জেলার সর্বস্তরের মানুষের ব্যনারে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত।

পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলীপী প্রদান করা হয়।

মানব বন্ধনে উপস্থিত নাগরিকরা দাবী করেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) হচ্ছে পটুয়াখালীতে। দক্ষিণাঞ্চলে ইপিজেড স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ আহরন রফতানি আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার লক্ষে এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ লোকের সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ সাথে সাথে ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এখানে ১৫৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বছরে প্রায় ১৮৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য এক্সপোর্ট হবে। এত বড় কর্মযজ্ঞের জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আন্তর্জাতিক মানের সুরক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আগ্রহ উভয়ই বাড়বে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, পেশাজীবি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পটুয়াখালীর ভৌগোলিক গুরুত্ব, পর্যটন সম্ভাবনা, সরকারি খাস জমির প্রাপ্যতা, সামরিক ঘাঁটি ও বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি—সবমিলিয়ে এখানে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল স্থাপন সময়োপযোগী এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে। তারা আরও বলেন, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে হাসপাতালটি প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রেও উপযোগী হবে। একইসঙ্গে ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের মতো মেগা প্রকল্পে কর্মরত দেশি-বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত হবে।

পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পটুয়াখালীতে জমি অধিগ্রহণ ছাড়াই হাসপাতাল নির্মাণ সম্ভব, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয় উভয়ই কমাবে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সদিচ্ছা ও চীনের সহায়তায় শিগগিরই এই দাবিটি বাস্তবায়ন হবে, যা দক্ষিণাঞ্চলের স্বাস্থ্যখাতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন বয়ে আনবে।

যাযাদি/ এমএস