কারাবন্দি অবস্থায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

প্রকাশ | ০১ মে ২০২৫, ২০:৪৬

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি.এম. বাকির  হোসেনের কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার ও দলীয় নেতাদের দাবি এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ মৃত্যুকে ঘিরে গভীর শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি এখন আলোচনার  কেন্দ্রবিন্দু পরিনত হয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নড়াইলের কালিয়ায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরদার আনোয়ার  হোসেনের সভাপতিত্বে  বক্তব্য রাখেন- কালিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  সেলিম রেজা ইউসুফ, গোলাম রসুল মান্দার, ইকরাম রেজা, হায়দার শেখ, প্রমূখ ।

বক্তারা বলেন, বি.এম.বাকির  হোসেন বিএনপির একজন সাহসী ও সংগ্রামী নেতা ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি একাধিকবার সরকারের  রোষানলে পড়েন। এরশাদ শাসনামলে তিনি টানা পাঁচ বছর কারাভোগ করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে জননিরাপত্তা আইন ও হত্যা মামলাসহ ২৭টি মামলা দায়ের করে দীর্ঘদিন কারাগারে আটক রাখে। এরপর ২০০৭ সালের ১/১১ সরকারের সময় আরও চারটি মামলায় তাঁকে কারাগারে থাকতে হয়।  কারাগারে তাঁকে হত্যা করা হয়।

প্রয়াত বি.এম.বাকির হোসেনের ছোট ভাই ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বি.এম. নাগিব  হোসেন  বলেন, আমার ভাই ছিলেন একজন আপসহীন রাজনীতিক। 

জীবনের প্রতিটি পর্বে তিনি জাতীয়তাবাদী আদর্শে অবিচল ছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তাই তাঁকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। ১/১১ সরকারের সময় কারাগারের মতো একটি নিয়ন্ত্রিত জায়গায় তাঁর মৃত্যু কখনোই স্বাভাবিক হতে পারে না। তাঁর জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তাঁর মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দোষী বা দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।