হিজলার সাওড়া সৈয়দখালীতে বালু উত্তোলন শুরু, নদী ভাঙনের শঙ্কা
প্রকাশ | ০২ মে ২০২৫, ১৮:৩৮

হিজলার সাওড়া সৈয়দখালীতে বালু উত্তোলন শুরু, নদী ভাঙনের আশঙ্কা স্থানীয়দের বহুল আলোচিত বরিশালের হিজলা উপজেলার সাওড়া সৈয়দখালী বালু মহাল থেকে গত কাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
উপজেলার গৌরাব্দী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংকরপাশা ও কাকুরিয়া গ্রামে ৩০ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর বি এন্টারপ্রাইজ।
এ বালু মহাল চালু হওয়ায় আশপাশের গ্রাম সংকরপাশা ও কাকুরিয়ায় বসবাসকারী লোকজন আতঙ্কে আছেন। তাদের দাবি, বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনে ভূমি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরাও আছেন আতঙ্কে। বালু মহাল ঘিরে শত শত বলগেট ও ড্রেজার নদীতে চলাচল করার কারণে জেলেদের জাল ছিঁড়ে যায়, মাছ ধরা ব্যাহত হয়, নৌ দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। বালু উত্তোলনের শত শত মাইলের মধ্যে মাছ ধরা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।
তাই স্থানীয়দের দাবি, আইনি প্রক্রিয়ার সবকিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। নদী, জেলে, পরিবার ও পরিবেশ সব কিছুর স্বার্থেই স্বচ্ছতা জরুরি।
সার্ভেয়ার সুমন জানান, তিনি ৩০ এপ্রিল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপস্থিত হয়ে জায়গা পরিমাপ করে নির্ধারণ করে দেয়ার পর বালু উত্তোলন শুরু হয়। তবে ড্রেজারের সংখ্যা, কাগজপত্র, শ্রমিক ও উত্তোলিত বালুর পরিমাণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান এবং উপরস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াস সিকদার বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেই বালু মহাল চালু হয়েছে। সমস্ত বৈধ অনুমতি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে।’তবে কার কাছে টাকা জমার ট্রেজারী চালানের কপি চাইতে গেলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি জানান, ‘চুক্তিটি উন্মুক্ত করার বিষয় নয়, এটা বালু মহাল আইনে যা আছে তাই এবং সেখানে প্রতিষ্ঠানটির নাম যুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’ বিস্তারিত জনসমক্ষে প্রকাশ করতে এর একটি কপি দেয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চুক্তিটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং আমাদের (সরকারের)।’