বদলগাছীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশ | ০২ মে ২০২৫, ১৮:৪৬

বদলগাছী( নওগাঁ)প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

নওগাঁর বদলগাছীতে সোনালী বোরো ধানের ব্যাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি। বদলগাছী উপজেলার ধান ও চাউলের  সুনাম  ছড়িয়ে যায় দেশ জুড়ে। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে দুলছে সোনালী বর্নের ধান। মনের আনন্দে কাটামার শুরু করছে কৃষরা। 

বদলগাছী উপজেলার মাঠগুলোতে এখন বোরো ধানের সবুজ বরণ কেটে সোনালী বরণ ধারণ করেছে। কিছু কিছু এলাকায় বোরে ধান কাটতে শুরু করেছে ।

যে দিকেই চোখ যায় শুধু ধান আর ধান  ধানের শীষে  মাঠ জুড়ে দুলছে কৃষকের দৃষ্টিকারা  দৃশ্য। হালকা হাওয়ায়  দুলছে ধানের সোনালী ধানের  শীষ। কৃষকের মনে উঁকি দিচ্ছে এক নতুন স্বপ্ন ।  তারা ভাবছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঝড় আবহাওয়া ও শিলাবৃষ্টির ভাবনায় । আর ৮দিনের মধ্যেই শুরু হবে পুরো দমে কাটামারাই। 
পাকা ধান ঘরে তুলতে জায়গা প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকেরা। তারা বলছেন, ধানের চারা রোপনের পর থেকেই  আবহাওয়া অনুকূল থাকার  কারণে ধানক্ষেতে রোগ-বালাই তুলনামূলক অনেক কম। ধান কাটা-মাড়াই পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকলে বাম্পার ফলন ঘরে তুলতে পারবে বলে কৃষক- কৃষাণীরা আশা করছেন। 
কৃষি অফিসের তথ্যমতে  উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১১ হাজার ৭ শত ৪০হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ আবাদ হয়েছে। 


উপজেলার সদর সহ   আধাইপুর , কোলা, পাহাড়পুর,  বিলাশবাড়ী, মথুরাপুর, মিঠাপুর ও বালুভরা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে বোরো ধানের চাষ আবাদ করা হয়েছে। তাদের মনে একটা চিন্তা প্রাকৃতিক  ভাবে কোন ঝড় বৃষ্টি না হলে বাম্পার ফলন ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
 বেশ কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান কাটাত  শুরু করেছে।


উপজেলার ভান্ডার পুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন ও বালুভরা ইউনিয়নের সাজ্জাদ হোসেন বলেন এবছর আবহাওয়া অনুকূলে ভাল থাকায় আমরা বোরো ধান বাম্পার ফলন পাচ্ছি। কয়েকটা দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না আসে আমরা সুন্দরভাবে ঘরে ধান তুলতে পরবে।

 বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক বাবলু,তজিবর,সাইফুল বলেন আমরা বোরো ধানের মধ্যে জিরাসাইল কাটারি ও আটাশ ধানের আবাদ সর্বাধিক পরিমাণ জমিতে রোপন করে থাকি। কিছু কিছু জমিতে নতুন অন্য জাতের ধানের চাষও করা হয়েছে।


 বদলগাছী সদর ইউনিয়নের চাংলা গ্রামের ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আগাম জাতের রোপণকৃত ধান কাটামারা শুরু হয়েছে। শেরপুর গ্রামের বেলাল হোসেন, জাফর আলী সহ অনেকে বলেন এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি আমরা,  ঝড় শিলাবৃষ্টির চিন্তাই  আছি।


বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান  বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। অল্প খরচে অধিক ফলনের জন্য আমরা কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছি। বিশেষ করে বোরো ধান রোপনের শুরু থেকেই আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায় কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করেছেন। যার ফলে এবার বদলগাছী  উপজেলার কোথাও মাঝড়া পোকার আক্রমণ নেই। এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।