আ'লীগ ও বিএনপিকে ‘মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ বলে বেকায়দায় গণ অধিকার নেতা জীবন

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৫, ১৯:৫৮

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

গণঅধকিার পরষিদরে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসনে জীবন স¤প্রতি দেওয়া এক বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বির্তকের সৃষ্টি করেছেন। সিলেটে শ্রমিক অধকিার পরিষদের এক শ্রমকি সমাবেশে তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে “একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ” আখ্যা দিয়ে বক্তব্য রাখেন।

তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনরে নেতাকর্মীরা এ বক্তব্যকে 'দলদ্রোহিতা' হিসেবে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করনে এবং প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। প্রতিবাদের ১২ ঘন্টার মধ্যেই ক্ষমা চাইলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ওই নেতা আবুল হোসেন জীবন।

এছাড়া উক্ত ব ব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতবিার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজলো, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে শ্লোগান ছিল আবুল হোসেনের দু’ গালে জুতা মার’ও তালে তালে, হৈহৈ রৈরৈ আবুল হোসেন গেলো কই ইত্যাদি। মিছিলটি শহররে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র নেতা মিটন মিয়া, হাবিবুর রহমান, নাবেদ মিয়া প্রমূখ। 

তারা বলেন, উক্ত আবুল হোসেন জীবন গণফোরাম, তারপর গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান পাল্টানোর কারণে অনেকে তাকে ‘পল্টিবাজ’ বলেও মন্তব্য করেছেন। তারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ্যে বিএনপির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেন।

এছাড়া তার বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, বিশেষ করে সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি সামাজকি মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা বির্তক আরও ঘনীভূত করেছে। আওয়ামী যুবলীগের অনেক নেতার্কমীদেরেকে গণ অধকিার পরষিদে যোগদানরে মাধ্যমে আওয়ামীলীগ কে পুণঃবাসনের অপচষ্টো করছনে বলওে অভেিযাগ উঠেছে। 

এমন উত্তোপ্ত পরিস্থিতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হোসেন জীবন শনিবার সময় অসময় নিউজ নামে একটি অনলাইন পোল্টারে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১২ ঘন্টার মধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করে তার এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি তার এই বক্তব্য অনাকাঙিত বলেও উল্লেখ্য করেন।