চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাসপাতালে ঢুকে তত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত

প্রকাশ | ০৩ মে ২০২৫, ২০:১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজের কক্ষে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আহসান হাবিব নামে এক কনসালটেন্টের বিরুদ্ধে।

শনিবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে যান হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট আহসান হাবিব। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়কের টেবিলে থাকা ল্যাপটপ ভাঙচুর করেন ডা: আহসান হাবিব। এ ছাড়া ডা:আহসান হাবিব ওই ল্যাপটপ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ককে আঘাতের চেষ্টা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জুনিয়র কনসালটেন্ট আহসান হাবিবের দাবি, হাসপাতালে তিন বছরের বেশি কর্মকালে তিনি নানানভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এসব বিষয়ে কথা বলার সময় তত্ত্বাবধায়ক গুরুত্ব না দেয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক মাসুদ পারভেজ বলেন, হাসপাতালে দুইজন রেডিওলোজিস্ট রয়েছেন। প্রতিদিনই হাসপাতালে আসা রোগী ভাগাভাগি করে দেওয়া হয় তাদের দুজনকে। এসব বিষয় নিয়ে তার কক্ষে কথা বলতে এসে ডা: আহসান হাবিব উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ল্যাপটপ ভাঙচুরসহ তাকে আঘাত করতে আসেন। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান ডা:মাসুদ পারভেজ।


তবে ডা:আহসান হাবিবেব দাবি, হাসপাতালে তিন বছরের বেশি কর্মকালে তিনি কর্মরত। পদোন্নতির পরও তাকে আলাদা চেম্বার দেওয়া হয়নি। এমনকি তার নামফলক পর্যন্ত নেই। এসব বিষয় নিয়েই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ও একজন কনসালটেন্টের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এটা হাসপাতালের ঘরোয়া ব্যাপার। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। তবে এ বিষয় নিয়ে কোনো পক্ষই থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”