ইঁদুরের উৎপাতে দুশ্চিন্তায় বোরো চাষি

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৫, ১৫:৫২

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। সেই সাথে প্রকৃতির মলিন বাতাসে সবুজের মাঝে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের শীষ। কেউ বা ধান ঘরে তোলার আশায় ধান ক্ষেতে শেষ সময়ে পরিচর্যা সেচ ও কীটনাশক স্প্রে ব্যস্ত সময় পার করছে। কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্নের সবুজে ইঁদুরের হানায় বোরো চাষীদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে।

ধানক্ষেতে ইঁদুরের উৎপাত থেকে ধান ক্ষেতকে রক্ষা করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। ধান ক্ষেতে ইঁদুর  প্রবেশ করে ধানগাছ কেটে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন। এভাবে ইঁদুরের উৎপাত বাড়তে থাকলে এবার বোরো ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। নিজ উদ্যোগে ইঁদুর নিধনে ফাঁদ ও কীটনাশক, খুঁটিতে ছোট ছোট পলিথিনসহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে কোন সুফল পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কৃষকেরা

তবে কৃষি অফিস বলছে উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ৩২হাজার ৮৯ হেক্টর। এরমধ্যে বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে হয়েছে ১৪হাজার ৯৬৯হেক্টর জমিতে। কিন্তু অর্জিত হয়েছে ১৪হাজার ৭৬৯হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রায় জামির পরিমানে ইঁদুর আক্রমনের সংখ্যা সামান্য জমিতে। এই সমস্য খুব বড় রকমের নয়। সময় মতো বিষ প্রয়োগ এবং সঠিক পরিচর্চা করলে তেমন একটা ক্ষতির মুখে পড়বে না বোরা চাষীরা।

এ ব্যাপারে মোহনপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পলাশবাড়ী গ্রামের কৃষক ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি আবহাওয়া ভালো থাকায় ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ নেই তবে ইঁদুরের উৎপাতে ধান ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমার ধান ক্ষেতের বিভিন্ন জায়গা ধান গাছ গুলি কেটে দিচ্ছে যদি ও ফাঁদ ব্যবহার করছি কাজ হয় না। আর এভাবে চলতে থাকলে ধানের আশানুরূপ ফলন হবে না সেক্ষেত্রে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। 

একই ইউনিয়নের চৌক-উজিরা গ্রামের কৃষক জাহিরুল ইসলাম বলেন, আমার ৫০ শত জমি ধান করেছি ফলন খুব ভালো হয়েছে কোন রকম রোগবালাই নেই। তবে ধান ক্ষেতে ইঁদুরে উৎপাতে প্রতিদিনেই ধানের শীষ গুলো গোড়া থেকে কেটে দিচ্ছে। তা দেখে ক্ষেতের উপর পলিথিন ও ফাঁদ ব্যবহার করছি তারপর ধান গাছ কেটে শেষ। এভাবে চলতে থাকলে খরচের টাকা ঘরে তোলা কঠিন হয়ে পড়বে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কীটনাশক ব্যবহারসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষকরা যদি সঠিক ভাবে পরিচর্চা নিতে পারে তাহলে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।    

যাযাদি/ এসএম