টেকসই ইলিশ উৎপাদনে সন্ধ্যা নদীতে অভিযান

নেছারাবাদে জাটকা নিধন রোধে মোবাইল কোর্ট

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৫, ১৬:২৫ | আপডেট: ০৪ মে ২০২৫, ১৬:৪৪

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীতে জাটকা নিধন প্রতিরোধে গতকাল ৩ মে ২০২৫, শনিবার বিকেলে এক বিশেষ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

উক্ত অভিযানে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, যার অংশ হিসেবে একটি মাছ ধরার নৌকা ও আনুমানিক ১২০০ মিটার বিভিন্ন প্রকার অবৈধ জাল আটক করে তা পরবর্তীতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

 

অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারিয়া কনক, নৌ পুলিশ এর অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ। তারা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে জাটকা রক্ষায় চলমান সরকারি বিধিনিষেধ কার্যকর করেন।

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ‌জাটকা সংরক্ষণে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ সময়কালকে নিষিদ্ধ মৌসুম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় জাটকা ধরা, মজুদ, পরিবহন ও বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে মৎস্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে'। তিনি আরও বলেন, ‌আজকের অভিযানে যেসব জাল জব্দ করা হয়েছে তা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে'।

উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারিয়া কনক বলেন, ‌জাটকা রক্ষা না করতে পারলে ইলিশ উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে জেলেদের সচেতন করার পাশাপাশি, যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে'।

 

নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার জানান, ‌আমরা নৌ পথে নিয়মিত টহল দিচ্ছি। জেলেদের সাথে আলোচনা করছি এবং তাদের বুঝাচ্ছি যাতে তারা সরকারি নির্দেশনা মেনে চলেন। আজকের অভিযানে যারা পালিয়ে গেছে, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে'।

 

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে জাটকা সংরক্ষণে ১ নভেম্বর থেকে চলমান ৩০ জুন পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এবং জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাটকা নিধন অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে।

 

স্থানীয় জনগণ এবং পরিবেশ সচেতন মহল এ ধরনের অভিযানের প্রশংসা করে জানান, নদী রক্ষা ও টেকসই ইলিশ উৎপাদনের জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী।