দামুড়হুদায় মাঠভরা সোনালি বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষকরা

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৫, ১৬:৪১

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

প্রচন্ড রোদ মাথায় রেখে ঝড় বৃষ্টির শঙ্কায় উপেক্ষা করেই ঠাঁ ঠাঁ রোদে কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকরা। বাতাসে পাকা ধানের মতো দুলছে কৃষকের সোনালি হাসি। 

ইতিমধ্যে মাঠে শুরু হয়েছে ধান কাটার মহোৎসব। কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ। আবহাওয়া অনুকূল ও পোকার আক্রমণ না থাকায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এদিকে ধান ক্ষেতেই মাড়াই করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাস্তায় ধান মাড়ায় ও শুকানো হচ্ছে। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এবছর হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। 

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে  জানাযায়, দামুড়হুদা উপজেলার এ বছর  লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল  ৯ হাজার  ৫০ হেক্টর । কিন্ত অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,  কৃষকরা কেউ ধান কাটছেন, কেউ ধানের আটি বাঁধছেন। কেউ আবার ধান কাঁধে বা যানবাহনে করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে কৃষকরা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের কুড়–লগাছি  গ্রামের কৃষক জালাল জানায়, “এবছর ৫ বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে এবার অন্য বছরের তুলনায় শ্রমিক সংকট খুব বেশী হয়নি। তবে  প্রতিজন শ্রমিককে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এক সপ্তাহের  মধ্যেই ধান কাটা, মাড়াই ও শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজ শেষ হবে।”

উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের হায়দার জানান,  এ বছর সময় মতো বীজ, সার, কীটনাশক আর পানির অভাব ছিল না। ছিল না কোনো ভাইরাস পোকার আক্রমণ। গত বছর প্রতি বিঘাতে ২২-২৫ মণ ধান হয়েছে। এ বছর সেটা বেড়ে হয়েছে ২৫-৩০ মণ পর্যন্ত। তবে জমি লিজ ও শ্রমিক মূল্য বেড়েছে। 

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ইতিমধ্যেই উপজেলায় বোরো ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ শুরু হয়েছে। সঠিক সময়ে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যে বীজ, সার ও কৃষি উপকরণ পেয়েছে। জমিতে কোনো পোকার আক্রমণ ছিল না। এ বছর কৃষকরা উৎপাদিত ফসলে ভালো লাভবান হবে। পাশাপাশি এ বছর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রেখেছি। সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ, পানি সাশ্রয় ও ধানের পরিচর্যা বিষয়ে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলন পাবে।