সৈয়দপুরে সড়ক প্রশস্ত করে ডিভাইডারসহ ওয়ানওয়ে সিস্টেম চালু করতে হবে
প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৫, ১৭:৪৬

নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরের সড়কগুলোর দুই পাশের অর্ধেক করে দোকানদারদের দোকান বড়, মালামাল রাখা, রিক্সা, রিক্সাভ্যান, অটো চার্জার, চার্জার ভ্যান, পিকআপ, ছোট-বড় ট্রাকের দখলে থাকায় দিনে-রাতে সমান তালে সৈয়দপুর শহর তীব্র যানজটের কবলে পড়ে রয়েছে।
দিনে-রাতে শহরের সড়কগুলোতে রিক্সা, অটো-চার্জার, মোটর-সাইকেল, টিক-আপ-কার-মাইক্রোবাসের দীর্ঘ লাইনের কারণে লাগা তীব্র যানজট আর বিভিন্ন ধরনের ভ্রাম্যমান দোকান বসায় সেইসাথে কার, মোটর-সাইকেল যত্রতত্র পার্ক করে রাখায় সবধরনের যান চলাচলে ও পথচারীদের চলাচলের সবরকম সুবিধা বঞ্চিত হওয়াসহ এলাকার মানুষজনের নাভিশ্বাস উঠেছে।
পৌর প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মাঝে-মধ্যে অভিযান চালিয়ে ফুটপাত দখল মুক্তসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষাসহ হেলমেট বিহীন মোটর-সাইকেল আরোহীদের জরিমানা করলে তাৎক্ষণিক যানজট কমলেও তা’ আবারো পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে।
যার ফলে তীব্র যানজট নিরসন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৌর প্রশাসক বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ইতিমধ্যে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হলেও যানজট স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেনি।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ তুলশীরাম সড়ক, শেরেবাংলা সড়ক ও শহীদ জহুরুল হক সড়কগুলোর দুইধারে ফুটপাত, ওয়ান ওয়ে সড়ক মাঝখানে ডিভাইডারসহ ৭৫ ফুট করে প্রশস্ত করলে এবং রিক্সা, অটো-রিক্সা, চার্জার ভ্যান দাঁড়াবার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করলে এ তীব্র যানজটের সমস্যা থেকে বেড়ানো সম্ভব নচেৎ নয়। তাছাড়া হোটেল-রেস্তোরা ও সুপার মার্কেটের সামনে নিজস্ব পার্কিংয়ের নির্দেশনা দেওয়াসহ তা’ পালন করতে বাধ্য করাতে হবে। কথা হলে নতুন বাবুপাড়ার ওয়াদুদ, পুরাতন বাবুপাড়ার ফারুক, মিস্ত্রিপাড়ার স্বপনসহ আরো বেশ কয়েকজন জানান, আসলে শহরের সড়কগুলোর যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্তকরণ, পথচরি চলাচেলের ফুটপাত, সড়কে ডিভাইডারসহ ওয়ানওয়ে সিস্টেম চালু করতে হবে।
ফ্লাইওভার নিয়ে কথা হলে তারা জানান, সেটা হলে শহরের ভেতর দিয়ে দুর-পাল্লার যানবাহনগুলো না’ হয় চলাচল করবে। কিন্তু, শহরের ভেতর তো আসল যানজট তেমনিই থাকবে। কারণ, সড়কগুলো প্রশস্ত না হলে ওয়ানওয়ে না হলে সড়কের দুইপাশে ফুটপাত না থাকলে জনসংখ্যা আর ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্ব অনুযায়ী এ যানজট সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই মন্তব্য করেছেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তাই, পৌর প্রশাসন, বিএনপি-জামায়াতের নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীমহল ও সূধীজনের নেতৃত্বে শহরের ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে যানজট সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের সহায়তা নিয়ে তা’ বাস্তবায়নের জন্য মত পোষন করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী জনগণ।