শ্রীপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ০৪ মে ২০২৫, ১৮:২৪

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

মাগুরার শ্রীপুর সরকারি কলেজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, শ্রীপুরের সর্বস্তরের জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে আজ রবিবার দুপুরে শ্রীপুর সরকারি কলেজ গেট ও সব্দালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৃথক পৃথকভাবে উপজেলার নোহাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটো(৪৫) কর্তৃক রিমি খাতুন (১১) নামে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ  পালন করেছে।  

শ্রীপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সদস্য সচিব রায়হান রিংকু ও যুগ্ম-আহবায়ক সোহান বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ  ও মানববন্ধনে শ্রীপুর সরকারি কলেজ ও সব্দালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তঃ অংশগ্রহন করে  এবং জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। 

এসময় সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত  থেকে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নির্মল কুমার সাহা, সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রায়হান রিংকু, যুগ্ম-আহবায়ক সোহান বিশ্বাস, যুগ্ম-আহবায়ক মানিক হোসেন, যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমান, শফিক বিশ্বাস, আকাশ খোন্দকার, কলেজ ছাত্রী রাবেয়া তাসনিম ইভা ও সিমলা সাহাসহ আরোও অনেকে।

বিক্ষোভ সমাবেশে সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রায়হান রিংকুর এসময় বক্তব্যে বলেন,  নোহাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটো দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রিমি খাতুনকে উত্যক্ত করে আসছিল এবং গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে রিমি নামের ছাত্রীটি বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর উক্ত শিক্ষক তার হাত ধরে জোর করে একটি নির্জন রুমে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানী ঘটায় । 

এঘটনায় ছাত্রীটির চাচা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের নামে গত ২’মে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন। 

মামলার পর থেকেই উক্ত শিক্ষক গা-ঢাকা দিয়েছেন তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাড়াও শ্রীপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রদলের কর্মীরা  উক্ত নির্যাতিত ছাত্রীটির  পাশে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন অপশক্তি যদি এই নির্যাতিত পরিবারের প্রতি কোন প্রকার অবিচার বা মামলাটি নষ্ট করার অপচেষ্টা চালায় তাহলে তাদের  বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য থাকবে । 

এছাড়াও অনতি বিলম্ভে উক্ত শিক্ষককে আটকপূর্বক আইনের আওতায় আনার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।