হাটহাজারীতে রইস হত্যার বিচার দাবিতে অবরোধ
প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৪:৫৯

হাটহাজারীতে মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচারের দাবি ও খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুননির্ধারিত সোমবার সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ অবরোধ সম্পন্ন হয়েছে।
হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ১নং সড়ক, ফতেয়াবাদ, বড়দিঘিরপাড় এলাকায় ছাত্রসেনা, যুবসেনা, ইসলামী ফ্রন্ট ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত সহ সর্বসাধারণ মানুষ অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং সংহতি প্রকাশ করে। সকাল ৯টা থেকেই বিশেষ করে চবি ১নং সড়ক ও হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড চলাচলের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় কিছু যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। তবে পুননির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তেমন গাড়ি চলাচল ছিল না। এদিকে কড়া কর্মসূচি চললেও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, কাঁচা মালামালের গাড়ি, বিদেশ ও হজ্জ্ব যাত্রী, ডাক্তার, মিডিয়াকর্মীদের গাড়ি চলাচলে ছিল না কোন বাধা। দুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের হুইসেল শুনলেই অবরোধকারীরা দ্রুত তাদের পথ পরিস্কার করে দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চবি ১ নং গেইটে অবরোধকারীরা বাঁশ, চেয়ার, ছোট ছোট ইটের টুকরো এবং সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। অনেকে টায়ার জালিয়ে মুহুর্মুহু রইস হত্যার বিচারের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে। হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডের হাটহাজারী-নাজিরহাট, হাটহাজারী- রাউজান-রাঙ্গামাটি সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। বাসস্ট্যন্ড গোলচত্বরে কিছুক্ষণ পর পরই মিছিল করে অবরোধকারীরা। এসময় নাজিরহাট ও রাউজান সড়কে টায়ারে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এসময় হাটহাজারী মডেল থানার ওসিসহ পুলিশের কয়েকটি পুলিশের টিম, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা অবরোধকারীদের পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। তিন ঘণ্টার কর্মসূচি থাকলেও প্রশাসনের অনুরোধে বিশ মিনিট আগেই কর্মসূচি সমাপ্ত করেন নেতৃবৃন্দরা। কর্মসূচি সমাপ্তের পর পরই অবরোধকারীরা নিজ উদ্যোগে সব ধরনের ব্যারিকেড সরিয়ে দেয় সড়ক থেকে। কর্মসূচি সমাপ্তের আগ মূহুূতে বাসস্ট্যন্ড গোল চত্বরে নেতাকর্মীরা অবরোধ সফল করায় কর্মসূচিতে অংশ নেয়া এবং সংহতি প্রকাশ করায় সুন্নি জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আশা করছি সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিবে। অতি দ্রুত রইস উদ্দিন হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করবে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, হত্যার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ থাকা স্বত্বেও পুলিশ মামলা না নেয়া চিহ্নিত খুনিদের গ্রেফতার না করা মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে এ দেশে তাহলে মানুষ কার কাছে বিচার চাইবে। দেশের বিচার ব্যবস্থা যদি এমন হয় তাহলে প্রতিনিয়ত মানুষ অন্যায় করে যাবে। তাই দেশের আইনশৃংখলা ফিরিয়ে আনতে এবং রইস উদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান। এসময় বক্তারা খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, এডভোকেট মোখতার আহম্মদ সিদ্দিকি, মো.সেকান্দর মিয়া, মাও ছগির আহম্মদ, এস এম মাহবুবুল আলম, আব্দুস সালাম আলকাদেরী, নাছির উদ্দিন রুবেল, হাফেজ সোলায়মান, হাফেজ শাহেদ, ওমর ফারুক, হাফেজ মহিউদ্দিন, হাফেজ জমির, মো. ফোরকান, মো. আলমগীর খোকন প্রমূখ।
যাযাদি/ এসএম