নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের গর্ভনিং বডির নির্বাচনে আ:লীগ-জাপার ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৫:৫৭

সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের গর্ভণিং বডির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল  করা হয়েছে। তারা হলেন,সিদ্দিক হোসেন, আমিনুল ইসলাম আলম ও আমজাদ হোসেন মোল্ল্যা।


রোববার (৪মে)  মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিনে ২৪ এর চেতনায় গণদাবি ও লিখিত অভিযোগের আলোকে ওই ৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ অফিসসুত্রে জানা যায়,সম্প্রতি গর্ভনিং বডির নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য  কলেজ কর্তৃপক্ষ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।

সে মোতাবেক ২১ এপ্রিল তফশীল ঘোষনা করা হয়।ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী ৮ জন অভিভাবক সদস্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

 নলডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,ঘোষিত তফশীল মোতাবেক ৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।। কিন্তু মনোনয়নপত্র বাতিলকৃত ৩ প্রার্থী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তোলেন।তাদের গণদাবি ও লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের  মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

তবে সোমবার (৫ মে) মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকলেও  ৩ প্রার্থীর কেউ আপিল করেননি।

 মনোনয়ন বাতিলের বিষযে নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক একাধিক  অভিভাবক আক্ষেপ করে বলেন,নলডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনী  তফশীল মোতাবেক মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে ৫ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়। তাদের ধারনা বাতিলকৃত প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ও  বিজয়ের সম্ভাবনায় স্থানীয় কিছু সংখ্যক লোকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে পেশিশক্তির জোরে ওই ৩ প্রার্থীর বৈধ মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে ঘোষনা করা হয়েছে। তারা আরো বলেন,ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার।অথচ তারা ওই কলেজের প্রকৃত অভিভাবক হওয়ার পরেও নির্বাচনে অংশগ্রহনে বাধা দেওয়ায় গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।


অপরদিকে এ নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় জামায়াত বিএনপির ভাষ্য,একক কর্তৃত্ববাদী আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করে জনগণের ভোটাধিকার কেঁড়ে নিয়েছিল।ভোটচুরি আর কারচুপির মাধ্যমে  রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করে এদেশের জনগণকে জিম্মী করে  ফ্যাসিস্ট হাসিনা দীর্ঘ ১৬ বছর দেশ শাসন করেছেন। 

তার এই শাসনামলে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীর জনপ্রিয়তা থাকলেও তারা  স্থানীয় নির্বাচন থেকে যেকোন ধরনের নির্বাচনে কেউই অংশ নিতে পারেনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও আবার ব্যক্তি ইমেজে বিএনপি জামায়াতের  অনেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে  মামলা মোকাদ্দমাসহ পুলিশী হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে।তাই এই এলাকায় আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের  যেকোন ধরনের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষনা দেন।