চৌগাছায় লাল আঙ্গুর চাষে রঙিন স্বপ্ন বুনছেন এপিল
প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৮:৩৯

যশোরের চৌগাছায় লাল আঙ্গুর চাষে প্রথমবারেই সফলতা দেখিয়েছেন কামরুজ্জামান এপিল নামে এক কোরিয়া প্রবাসী। তার দুই বিঘা জমির আঙ্গুর বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙ্গুর।
জানা গেছে উপজেলার ১১নং সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান এপিল দির্ঘদিন ধরে দক্ষিণকোরিয়া প্রবাসী। কোরিয়ার প্রবাস জীবনে এপিল স্বপ্ন দেখতেন দেশের মাটিতে আঙ্গুর চাষ করবেন।
সোমবার সরেজমিনে গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায় প্রবাস ফেরত কামরুজ্জামান এপিল নিজ জমিতে আঙ্গুরের পরিচর্যা করছেন। এসময় তিনি জানান, প্রবাস থেকে ফিরে গ্রামের মাঠে নিজের ২বিঘা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করেন।
২০২৪ সালের জুন মসে আঙুর ফলের বাইক্লো, এপোলো ও ব্লাক ম্যাজিক এই তিন জাতের চারা রোপন করেন তিনি। বর্তমানে এপিলের খেতের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল রঙের আঙ্গুর। আঙ্গুর যেন পোকা বা পাখির আক্রমণ থেকে রক্ষা এবং রং ঠিক রাখার জন্য আঙ্গুরের থোকা গুলি পলিপ্যাক দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছেন এপিল।
এপিল জানান, নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করেন তিনি। গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে সিমেন্টের খুঁটি, তার, বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে ফুল আসে গাছে। এপ্রিল মাসে ফল ধরা শুরু করে। বর্তমানে গাছগুলিতে বিপুল পরিমাণ আঙ্গুর ফলে ভরে গেছে আঙ্গুরের মাচাগুলি। বর্তমানে আঙ্গুর ফল মিষ্টি হতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, মে মাসের শেষের দিকে আঙ্গুর ফল পাকা শুরু করবে। সুস্বাদু ও মিষ্টি হবে। এপিলের আশা তার খেতের ফল যশোরের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতে পারবেন। এপিল বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঙ্গুরের চাষ শুরু হয়েছে। এভাবে চাষ বাড়তে থাকলে আশা করি বিদেশ থেকে আঙ্গুর ফল আনা লাগবেনা। এতে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসবে।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুসাব্বির হুসাইন বলেন, তার আঙ্গুর সিডলেস হয়েছে। আমাদের অঞ্চলে আগে থেকেই ড্রাগনসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে। গত বছর থেকে আঙ্গুরের চাষও শুরু হয়েছে। এভাবে চাষীরা এগিয়ে এলে আঙ্গুর চাষ আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।