কারাগারে ইমামের মৃত্যুর ৬দিন পর মামলা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৮:৩৮

গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনিতে মসজিদের ইমাম রহিজ উদ্দিনের মৃত্যুর ছয়দিন পর মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। রোববার ও সোমবার বিকেলে ইমামের হত্যার বিচারের দাবিতে গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
ইমামের মৃত্যুর ঘটনার পরদিন গত ২৮ এপ্রিল তাঁর স্ত্রী সাজেদা আক্তার পুবাইল থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেন। শনিবার (৩ মে) অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
নিহত রহিজ উদ্দিন চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় পরিবারসহ বাসা ভাড়া নিয়ে থেকে পুবাইল থানার হায়দরাবাদ এলাকার একটি মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করতেন।
এদিকে, ইমাম হত্যার বিচারের দাবিতে রোববার বিকেলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশের উদ্যোগে শহরের ভাওয়াল রাজবাড়ী সড়কের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন আলোচিত ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আ ন ম মাসুদ হোসেন আল কাদেরী, গাজীপুর জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল আউয়াল কাদেরী।
বক্তারা বলেন, অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে রইজ উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, রহিজ উদ্দিন চার মাস ধরে ওই মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়েত্বে ছিলেন। প্রথম দুই মাস বাড়ী থেকে মসজিদে যাতায়াত করতেন। পরে কমিটির লোকজন তাঁকে মসজিদের তৃতীয় তলায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। জুমার বয়ান নিয়ে এলাকার দুই পক্ষের বিরোধ দেখা দেয়। এক পক্ষ ইমামকে মসজিদ থেকে বিতাড়নের চেষ্টা করে। বিবাদীদের মধ্যে একজনের সন্তানকে ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়াও সোমবার কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটিসহ বিভিন্ন জেলায় গাজীপুরের ইমাম হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা মামলা গ্রহণ করেছেন। আসাীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে। তবে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।