কিশোরী উদ্ধারে গিয়ে মারপিটের শিকার তিন পুলিশ সদস্য

প্রকাশ | ০৫ মে ২০২৫, ১৯:৪৮

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মারপিটের শিকার হয়েছেন যশোর কোতয়ালী থানার তিন পুলিশ সদস্য। ১৪ বছরের এক কিশোরিকে উদ্ধার করতে এসে তারা এ মারপিটের শিকার হন। সোমবার বিকালে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন বাকুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, যশোর কোতয়ালী থানার এএসআই তাপস কুমার পাল, কনেস্টবল রাবেয়া খাতুন ও ফারজানা খাতুন।

স্থানীয়রা বলছেন, সম্প্রতি বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের ভাইরার ছেলে সুজন হোসেন যশোর থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়েকে নিয়ে এসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। এ ঘটনায় মেয়ের পরিবার যশোর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর যশোর থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরের পর কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই গ্রামে যায়। বাকুলিয়া গ্রামের ইমাদুলের বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় কয়েকজন নারী পুরুষ পুলিশের উপর হামলা করে। 

এসময় তারা পুলিশের কাছ থেকে ভিকিটিম মেয়েকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌছে আহত পুলিশ সদস্য ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরমধ্যে আহত পুলিশ সদস্যদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এসময় পুলিশ সদস্যদের মার ঠেকাতে গিয়ে আহত হন কালীগঞ্জ পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আছাদুজ্জামান আসাদের স্ত্রী মোছাম্মদ মাছুরা খাতুন। 

আহত কনেস্টবল রাবেয়া খাতুন জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় কয়েকজন ৬ থেকে ৭ জন পুরুষ এসে আমাকে বলে হাত ছেড়ে দাও। হাত না ছাড়াই আমাকে এবং আমার সাথে থাকা নারী কনেস্টবলকে মারপিট শুরু করে। তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট করে। 

এ ঘটনায় জানতে চাইলে যশোর কোতয়ালী থাকার ওসি  আবুল হাসনাত বলেন, আপনি কালীগঞ্জ তানার ওসির সাথে যোগাযোগ করেন। আমি কিছুই বলতে পারবো না বলে ফোন রেখে দেন। 
কালীগঞ্জ থানার ওসি জানান, যশোর কোতয়ালী থানার পুলিশ কালীগঞ্জ থানার সহযোগীতায় বাকুলিয়া গ্রামের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরিকে উদ্ধারে গেলে হামলার শিকার হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আইনগত ব্যবস্থা যশোর থানা নিবে বলে যোগ করেন ওসি।