‘দালালকে টাকা না দিলে ফেল' শেরপুরে বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা

প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৫, ১৩:২৭

শেরপুর প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

শেরপুরে বিআরটিএ অফিসে দালাল আর টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। 

টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল দেখানো হয় এবং নানা অজুহাতে বছরের পর বছর হয়রানি করা হয়। 

আর টাকা দিলেই পাশ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকস্মিক অভিযানে এমন তথ্য উঠে আসে।

 বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) শেরপুর সার্কেল অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

৭ মে বুধবার  দুপুরে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালচক্রের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন ও নানা অনিয়মের অভিযোগে দুদকের জামালপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়ায় অসাধুতা, দালালদের দৌরাত্ম ও অনিয়মিত পদ্ধতিতে ফিটনেস সার্টিফিকেট ইস্যুর প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন।  

ভুক্তভোগীরা জানান ‘দালালকে টাকা না দিলে ফেল- ওদীর্ঘ মেয়াদী হয়রানী করা হয় । এ সময় বিআরটিএ কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধেও অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ পান তারা।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিআরটিএ শেরপুর অফিসে দালালের দৌরাত্ম ও লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে হয়রানীর অভিযোগ পেয়েছি। এ অফিসে যারা অতিরিক্ত টাকা দেন না তাদের হয়রানী করা হয়। 

আর যারা দালালের মাধ্যমে টাকা দেন তাদের কাজ দ্রুত করে দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, একজন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে দালাল লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। আমরা ছদ্মবেশে তার সাথে কথা বলে আজকে অফিসে এসেছিলাম। কিন্তু ওই দালাল অফিসে আসেননি। 

অফিসের কিছু স্টাফের সাথে তো দালালদের যোগাযোগ আছেই। আমরা সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। 

এ অফিসের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এসব অনিয়মে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অভিযানকালে দুদকের জামালপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আতিউর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।