ফুলবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান
প্রকাশ | ০৮ মে ২০২৫, ১৫:০৬

ভূমিদখল চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জিবন ও সম্পদ রক্ষার দাবীতে মানব বন্ধন করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠা বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের ১০টি ভুক্তভোগী পরিবার।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নিতলামোড় দিনাজপুর-গবিন্দগঞ্জ সড়কের পাশে এক ঘন্টা ব্যাপী মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ঠা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন।
মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী পরিবারে প্রতিনিধি রশিদপুর গ্রামের মৃত অফুর উদ্দিনের ছেলে মোঃ আনছারুল ইসলাম,ইসমাইল হোসেনর ছেলে মোঃ নুর ইসলাম, মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ ইউনুছ আলী, মৃত হালিম শাহর ছেলর মোঃ আলি হোসেন, ৫ এনামুল হকের সস্ত্রী মোছাঃ রুখসানা বেগম, জহুরুল হকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন, জহুরুল হকের স্ত্রী মোছাঃ মেহেরুন নেছা সাবহান উদ্দিনের ছেলে মোঃ মকছেদুল হক।
ভুক্তভোগীরা বলেন তারা গত ৫মাস থেকে তাদের প্রতিবেশি কতিপয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও পরধন লোভি নৈরাজ্যকারী হিসেবে খ্যাত, একটি ভয়ঙ্কার গ্রুপের দাপটে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারছেনা।
ভুক্তভোগীরা বলেন আমরা পর্যায় ক্রমে উপজেলার নিরট্রি মৌরজা জেএল নং ১৫৩ এর ৬ একর ৭০ শতক জমি ক্রয় করে নিজ নিজ নামে খাজনা খারিজ করে চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু গত ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উক্ত সন্ত্রাসী বাহিনীর্ আমাদের ক্রয়কৃত জমি দখলকরে আমন মৌসুমে আমাদের ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে গেছে, সুধু তাই নয়, ওই ধান কাটতে বাধা দেয়ায়, তারা আমাদের বাড়ী ঘরে হামলা করে অগ্নিসংযোগ করেছিল,।
ভুক্তভোগীরা বলেন বর্তমানে তারা রাস্তাঘাটে তাদেরকে প্রতিক্ষনে ক্ষনে প্রাণনাসের হুমকি দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীরা। তাদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেনা তারা। এমনকি ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে হাট-বাজার জিবনযাত্রা সবেই বন্ধ হয়ে এখন মানবেতর জিবন যাপন করতে হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানায় এখন মাঠে আবারো বোরো ধান কাটার সময় এসেছে, এখন ওই সন্ত্রাসী বাহিনীরা ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করছে, তাদের চাহিদা মোতাবেক চাঁদা না দিলে, সেই বোরো ধানও কেটে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
এ জন্য তারা বাধ্য হয়ে জিবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চেয়ে মানব বন্ধন স্বারক লিপি প্রদান করছেন।
আপনার নিকট আকুল আবেদন, আমাদের স্বারক লিপি গ্রহন করে, তদন্ত পূর্ব সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে আমাদের জিবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে আকুল আবেদন করছি।
ভুক্তভোগী ৮টি পরিবারের অর্ধশত মহিলা পুরুষ মানব বন্ধন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসাহাক আলী বলেন, রশিদপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা একটি স্বারকলিপি প্রদান করেছে, যাহা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট উপদেষ্ঠা বরাবর প্রেরন করা হবে।