হিজলায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ | ০৯ মে ২০২৫, ১৭:৫১

বরিশালের হিজলা উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টার সময় উপজেলার খুন্না বাজারের জেলা পরিষদ ডাকবাংলো সংলগ্ন হিজলা মুলাদী সড়কের দু পাশে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানা ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
হিজলা নদী ও ভূমি রক্ষা কমিটির আহবায়ক ও ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক নায়েব আঃ কুদ্দুস,র সভাপতিত্বে, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ নানা বয়সের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রমত্ত মেঘনার ভাঙনে হিজলা উপজেলার ফসলি জমি, বসত বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। দীর্ঘ দিনেও ভাঙনরোধে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সম্প্রতি হিজলা উপজেলার ভূখণ্ড রক্ষার জন্য ৬ শত ৩০ কোটি টাকার নদী পাক প্রকল্পের কাজ চলমান। ঠিক সেই মুহূর্তে সাওড়া সৈয়দ খালী পয়েন্টে একটি বালুমহল ইজারা প্রদান করেছে প্রশাসন। স্থানীয়দের দাবি মেঘনা নদীর এ পয়েন্টে বালু উত্তোলনের ফলে চরের ফসলী জমি, বাড়ি ঘর,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রকল্প নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন অবিলম্বে বাল উত্তোলন বন্ধ না করলে কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে।
আরো কয়েকজন বক্তা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন আমাদের পিতা মাতার ভিটেবাড়ি একাধিকবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। এখন যদি আবার নিয়মিত বালু উত্তোলন করা হয়। তাহলে আমরা কোথায় যাব। মাথা গোজার থাইটকু থাকবে না।মেমানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন হাওলাদার তার বক্তব্যে বলেন প্রতিদিন এক থেকে দেড় শত লোড ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে এক কোটি ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হয়।এতে করে অচিরেই বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হিজলা উপজেলাটি হারিয়ে যাবে।
মানববন্ধন কর্মসূচির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসিন শিকদার বলেন, জেলা নিয়ম নীতি মেনে প্রশাসকের কার্যালয় থেকে যারা প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান যদি অনিয়ম ভাবে কোন কার্যক্রম পরিচালনা না করে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানববন্ধন শেষে নৌ-পরিবহন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ডক্টর এম সাখাওয়া হোসেন এর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
যাযাদি/ এসএম