কক্সবাজার টেকনাফে উৎসবমুখর পরিবেশ
মেরিন ড্রাইভে অনুষ্ঠিত হলো বৈশাখী ট্রায়াথলন
প্রকাশ | ১০ মে ২০২৫, ১৫:৪৫

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈশাখী ট্রায়াথলন ২০২৫ প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
শনিবার ১০ মে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজারে বৈশাখের প্রানবন্ত উৎসবে "Swim, Ride, Run - Boishakhi Fun!" মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে একঝাঁক উদ্যমী ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয় বৈশাখী ট্রায়াথলন ২০২৫।
উখিয়ার রেজু খাল থেকে শুরু হয়ে বেওয়াচ, লাল কাঁকড়া বিচ ও পাটুয়ারটেক পর্যন্ত এই আয়োজন ছিল প্রাণের উৎসব ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। সুস্থ শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস ও সহিষ্ণুতা অর্জনের পাশাপাশি পর্যটনকে উৎসাহিত করা এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
দৃঢ় প্রতিজ্ঞা এবং অবিচল সংকল্পের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বাঁধাকে অতিক্রম করে আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সকল প্রান্ত থেকে প্রাণবন্ত অংশগ্রহণকারীরা (সাঁতারু, সাইক্লিস্ট এবং দৌড়বিদ) আগমন করেন।
এছাড়াও ১ জন বিদেশী নাগরিক এই প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বৈশাখী ট্রায়াথলন ২০২৫ প্রতিযোগিতায় ২টি ক্যাটাগরিতে ২ জন নারী এবং ১৯৬ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রফেশনাল ক্যাটাগরি গ্রুপে নারী এবং পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন যথাক্রমে মো. শামসুজ্জামান এবং ফেরদৌসী আক্তার মারিয়া।
অ্যামেচার ক্যাটাগরি গ্রুপে পুরুষদের মধ্যে সেরা বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মো: মহিউদ্দিন । এছাড়াও প্রতিটি শ্রেণীর প্রথম ১০ জন অংশগ্রহণকারী স্মারক ক্রেস্ট এবং ট্রায়াথলন সম্পন্নকারী প্রত্যেকে একটি আকর্ষণীয় মেডেল ও একটি ই-সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন।
বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫ পর্যটন শহর হিসেবে কক্সবাজার এর ইতিবাচক ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সর্বসাধারণের মনোদৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে যথেষ্ট উৎসাহ ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। এই ট্রায়াথলন স্থানীয় জনগন এবং পর্যটকদের নিকট অত্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং সবাই এমন আয়োজনের জন্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।