বই হোক নিত্যসঙ্গী, পাঠাগার হোক প্রিয় ঠিকানা
প্রশাসন পাঠাগারে বই পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইউএনও
প্রকাশ | ১০ মে ২০২৫, ১৬:৫০

পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার পাঠাগারপ্রেমী নাগরিকদের জন্য এক আনন্দের সংবাদ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি তিনি উপজেলা প্রশাসন পাঠাগারে বই পড়ার জন্য সর্বসাধারণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগ বইপ্রেমীদের মাঝে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
উপজেলা প্রশাসন পাঠাগারটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ও জ্ঞানের একটি কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তবে নানা কারণে পাঠাগারে পাঠকের উপস্থিতি কমে যাচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজ উদ্যোগে পাঠাগারের পরিবেশ উন্নয়ন ও পাঠকদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তিনি জানান, ‘একটি পাঠাগার শুধু বই পড়ার জায়গা নয়, এটি চিন্তা-ভাবনার জগৎ গড়ে তোলার একটি জায়গা। বর্তমান প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করতে হলে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, পাঠাগারটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বহু মূল্যবান বই, যেগুলো যে কেউ পড়তে পারবেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ’।
পাঠাগারের পরিবেশ উন্নয়নের অংশ হিসেবে সেখানে বসার উপযোগী স্থান, পর্যাপ্ত আলো এবং শিশুদের জন্য আলাদা কর্নার সংযোজন করা হয়েছে। নিয়মিত পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঠাগারে সাপ্তাহিক ‘বই পাঠের আসর’ চালু করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যেই অনেক ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও স্থানীয় জ্ঞানপিপাসুরা পাঠাগারে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই বলছেন, এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ এবং এর মাধ্যমে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার পথ সুগম হবে।
এই উদ্যোগের ফলে নেছারাবাদে বই পড়ার সংস্কৃতি নতুনভাবে ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন স্থানীয়রা। একটি জনমুখী প্রশাসন কিভাবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তা প্রমাণ করছে এই পাঠাগার আহ্বান।
উল্লেখ্য নেছারাবাদ প্রশাসন পাঠাগার এর উদ্যোগ নেন পূর্বের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামান এবং এই পাঠাগার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, আজ প্রশাসন পাঠাগার জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
উপজেলা প্রশাসন সকলকে পাঠাগারে এসে বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “বই হোক নিত্যসঙ্গী, পাঠাগার হোক প্রিয় ঠিকানা।”