পাকা ধান কাটলো পুলিশ

মধ্যনগরে জমি নিয়ে বিরোধ আদালতে মামলা

প্রকাশ | ১১ মে ২০২৫, ১৯:৪৫

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
কাটা ধান ক্ষেতে আ. রাজ্জাক। ছবি: যায়যায়দিন

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের গড়াকাটা গ্রামের জমি নিয়ে বিরোধে আদালতে মামলা চলাকালে পাকা ধান কাটলো পুলিশ।

জানা যায়, আ. রাজ্জাক মিয়া ৫৫ বছর আগে জমিটা ক্রয় করেন খোয়াজ আলীর কাছে থেকে এবং দলিল মূলে বর্তমান রেকর্ডের মালিক হন তিনি।

পরে এস এ  রেকর্ডের মালিক ঐ গ্রামের আদু শেখ এর নাতি মো. শাহিনূর মিয়া দাদার সম্পত্তি দাবি করেন,এবং সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাইবোনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা মর্মে শাহিনূরের পক্ষে আদালত ৩২ শতাংশ জমি ডিক্রি প্রদান করেন। পরে  আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন বিবাদী আ. রাজ্জাক।

এছাড়া আ. রাজ্জাক অভিযোগ তুলে বলেন, উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় এবং মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই, শাহিনূর মিয়া ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে রিসিভার চেয়ে মামলা দায়ের করেন।

এর প্রেক্ষিতে গত ২১ এপ্রিল ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায়, মধ্যনগর থানার ওসিকে ধান কর্তনের রিসিভার দেন।

ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক রিসিভার আদেশ অনুযায়ী ২৪ এপ্রিল  মধ্যনগর থানার পুলিশ আমার ৫৫ বছরের দখলের জমির ধান কেটে নিয়ে যায়।

এতে প্রশাসন আমার প্রতি ব্যভিচার করেছে। এবিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই মো. ইউসুফ বলেন, আদালতের রিসিভার আদেশ অনুযায়ী জমির পাকা ধান কেটে মাড়াই করে ২৬ মন ধান পাওয়া গেছে এবং ১,০৫০ টাকা দরে বিক্রি করে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা পাওয়া যায়।

ধান সংগ্রহ করতে শ্রমিক খরচ বাদ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

আরও জানা যায় দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের দুলানানিয়া মৌজার এস এ খতিয়ান, জে এল নং ২৩ দাগ নং ২৫৯ বর্তমান দাগ ৫৪৪ এর ৯৩ শতাংশ ও ৫৪৬ দাগের ৩৯ শতাংশ জমি এস এ রেকর্ড মূলে মৃত আদু শেখ একই গ্রামের মৃত জাহেদ আলীর ছেলে মোঃ খোয়াজ আলীর কাছে বিক্রি করেন এবং দলিল করে দেন ।

পরবর্তীতে ১৬/৯/৬৯/ সনে দলিল মূলে বিক্রি করেন আ. রাজ্জাক মিয়ার কাছে এবং দলিল করে দেন ১৬/৯/৬৯/ সালে ।

পরে আ. রাজ্জাক তখন থেকেই জমি চাষাবাদ ও ভোগদখল করে আসছেন । পরে কয়েক বছর আগে মৃত আদু শেখের নাতি মো. শাহি নুর মিয়া রেকর্ড কারেকশন এর মামলা করেন সুনামগঞ্জ ট্রাইবোনাল আদালতে, পরে ৩২ শতাংশ জমি ডিক্রি পান শাহী নুর, আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আ. রাজ্জাক আপিল করেন।

আপিল মামলা চলাকালীন ধর্মপাশা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায় ১৪৪ ধারায়  মধ্যনগর থানার পুলিশকে রিসিভার আদেশ করেন।