জগন্নাথপুরে পাওনা টাকা উদ্ধারে থানায় অভিযোগ দেয়ায় হামলা, আহত ১

প্রকাশ | ১২ মে ২০২৫, ১১:১৮

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দালালের কাছে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দেওয়া সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবার আতংকে মধ্যে রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার (১১ মে) বিকাল ৫টায় সময় পৌর সদরে রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রাজ্জাক হোসেন সিএনজি মেরামতের জন্য সেখানে গেলে পাইলগাঁও ইউনিয়নের হাড়গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে দালাল মো. রাসেল মিয়া (৩২) জগন্নাথপুরের কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে প্রাণে হত্যার জন্য অতকিংত হামলা করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। রাজ্জাককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতলিবের ছেলে সুজাত আলী (মেম্বার) দালাল মো. রাসেল মিয়া ইতালীতে পাঠিয়ে দিবে বলে দুবাইতে নিয়ে যায়, সেখানে নিয়ে ইতালীতে নেওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা নেয়। ইতালিতে পাঠাতে পারে নাই, পরে সে বিভিন্ন ধরনের তালবাহানা শুরু করে। সুজাত আলী দেশে আসার পর তার বাড়ীতে টাকার জন্য গেলে টাকা না দিয়ে হুমকি দমকি দিয়ে বলে বেশি বাড়া বাড়ী করলে তাকে হত্যা করে কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দিবে। এ ঘটনা পর সুজাত আলী মার্চের ৬ তারিখ জগন্নাথপুর থানা অভিযোগ দায়ের করেন। পরে জগন্নাথপুর থানা এসআই ঈসমাইল হোসেন তদন্ত করেন। স্থানীয় লোকদের নিয়ে বিষয়টি সমাধান করবে বলে সময় নেয়। 

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সুজাত আলী মেম্বার বলেন, আমাকে ইতালিতে নিবে বলে প্রথমে দুবাইতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আমাকে আর ইতালীতে পাঠাতে পারে নাই। আমার সাথে মৌলভী বাজার জেলার রুয়েল মিয়া, মাহিম মিয়া, হবীগঞ্জ জেলার হাসমত মিয়া সহ আমাদের উপজেলার চিলাউড়া গ্রামের ইমন মিয়া, স্বজনশ্রী গ্রামের আলমগীর সহ আরো প্রায় ১০০ জনের কাছ কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে। দুবাইতে থাকার কারনে ভয়ে মুখ খুলতে পারি নাই। আমি দেশে এসে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে চাচাতো ভাইকে স্বাক্ষী দেওয়া আজ হামলা করে প্রাণে হত্যা করতে চেয়েছিল। তার সা‌থে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল নি‌য়ে যায়। আজ‌কে ঘটনায় থানায় অ‌ভি‌যোগ দি‌য়ে‌ছি।

হামলার ব‌্যাপা‌রে জান‌তে দালাল রা‌সেল মিয়ার মু‌ঠো‌ফো‌নে যোগাযোগ করা হ‌লে ফোন‌টি রি‌সিভ না করায় বক্তব‌্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।

অ‌ভি‌যো‌গের বিষ‌য়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞার জানান, এক‌টি অ‌ভি‌যোগ পে‌য়ে‌ছি। অ‌ভি‌যো‌গের আ‌লো‌কে আইন আনুক ব‌্যবস্থা গ্রহন করা হ‌বে।

যাযাদি/ এসএম