ওসমানীনগরে ঠিকাদারের অবহেলায় ব্রিজের কাজ বন্ধ 

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৫, ১৭:৩৭

এমদাদুর রহমান খান, ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামস্থ বুড়ি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে প্রায় ১কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টেন্ডার হলে আয়ান এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কাজ পাওয়ার পর কিছু অংশ কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে বরাদ্ধের ৪০ (চল্লিশ) শতাংশ টাকা উত্তোলন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রাখেন। 

গত বছরে বর্ষার পানি আসার অজুহাত দেখিয়ে আবার কাজ বন্ধ করে রাখেন। এরপর এবারের শুকনো মৌসুম চলে গিয়ে আবার বর্ষার মৌসুম চলে আসলে আবার কিছু কাজ শুরু করে ফেলে রাখেন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ থাকলেও একমাস সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন গ্রামবাসী। দ্রুত কাজটি শুরু করার জন্য গ্রামবাসী সংশ্লিষ্টদের বারবার অবগত করলেও কারো টনক নড়ে নি। তাছাড়া  ব্রিজে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন গ্রামবাসী।

ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দৌলতপুর গ্রামের সাথে গজিয়া-ফকিরাবাদসহ পার্শবর্তী কয়েকটি গ্রামের সাথের যোগাযোগ হবে। বর্ষা মৌসুমে দৌলতপুর গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে নৌকা ও সাঁকো ব্যবহার করেন। এতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিলাল দত্ত, অঞ্জন দাস, সুবেন্দ্র দাস, ছাদিক মিয়া, প্রাণেষ দাস বলেন, ব্রিজটি আমাদের গ্রামের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। শুকনো মৌসুমে সাঁকো আর বর্ষার দিনে নৌকা দিয়ে আমাদের পারাপার হতে হয়। ঠিকাদার কাজ পাওয়ার পর থেকে নিম্ন মানের কাজ করছেন। আমরা কাজটির মান ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রশাসনের প্রতি আমাদের দাবী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি যেন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেন।

আয়ান এন্টারপ্রাইজের মালিক রাজীবের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আমি ঠিকাদারের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য। ঠিকাদার ৪০শতাংশ বিল উত্তোলন করেছেন।

পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমন বলেন, এখানে ব্রিজ স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক বার কথা বলেছি। বর্তমানে ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ না হওয়ায় মানুষের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। কাজটি দ্রুত সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো।

ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছি।