চরফ্যাশনে চাঁদা না পেয়ে মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম 

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২৫, ১৯:৪৫

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

ভোলার চরফ্যাশনে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে মা ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে কুকরি মুকরি ইউনিয়ন যুবদলের নেতা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরি ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত সালাম হাওলাদারের স্ত্রী রহিমা বেগম (৫৫), বড় মেয়ে নুপুর বেগম (৩৫) ও ছোট মেয়ে মুক্তা বেগম (১৯) বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নুপুর বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ আইচা থানায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। 

জানা যায়, অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী একই এলাকার মৃত জালাল বেপারির ছেলে। তিনি দীর্ঘবছর যাবত ঢাকায় থেকে রিক্সা চালাতেন। ৫ই আগস্টের পর নিজ এলাকা কুকরি মুকরিতে এসে তিনি নিজেকে ত্যাগী যুবদল নেতা দাবি করেন। দলীয় নেতৃবৃন্দকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোহাম্মদ আলী শুরু করেন চাঁদাবাজি, জবরদখল ও দূরদূরান্ত থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মহোৎসব।

ভুক্তভোগী রহিমা বেগম জানান, মোহাম্মদ আলীর সাথে আমাদের পূর্বের কোন শত্রুতা নেই। সে ঢাকা থেকে এসে পুরো ইউনিয়নে বিভিন্ন অপকর্মের জন্ম দিয়েছে। একই গ্রামের হলেও সে আমাদের থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মোহাম্মদ আলী নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের উপর এই হামলা চালায় তিনি। 

কুকরি মুকরি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল হক মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হাওলাদার, যুবদল সভাপতি ফোরকান হাওলাদার এ ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, দিন দিন মোহাম্মদ আলীর অপকর্ম বেড়েই চলছে। সতর্ক করার পরেও কোনভাবেই তাকে থামানো যায়নি। এতে করে দলের যেমন ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, কুকরি মুকরিতে পর্যটকদের আগমনও কমে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, সম্প্রতি সালাম হাওলাদারের পরিবারের উপর হামলার ঘটনা শুনে ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব নাজিম উদ্দীন আলম দ্রুত সময়ের মধ্যে মোহাম্মদ আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে দক্ষিন আইচা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এরশাদুল হক ভুঁইয়া বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এস আই জাহিদ ঘটনার তদন্ত করবেন। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ।